ট্রিকি উইকেটেও অনন্য চেজ মাস্টার

রান তাড়া করাকে তো তিনি অনেক আগেই নিয়ে গেছেন শিল্পের পর্যায়ে। সেই শিল্পের আরেকটা নিদর্শন দেখা গেল রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে। ওপেনিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন। দেবদূত পাদ্দিকাল ১৮ তম ওভারে চার মেরে জয়ের বন্দরে ভেড়ালেন আরসিবিকে।

জয়পুরের উইকেটে বড় কোনো স্কোর করার উপায় ছিল না। ট্রিকি উইকেটে বল কখনও লো হচ্ছিল, কখনও হচ্ছিল আন-ইভেন বাউন্স। সেই অবস্থা থেকে যা করার দরকার ছিল সেটাই করলেন বিরাট কোহলি। এক প্রান্ত থেকে যখন ফিল সল্ট চার ছক্কার ঝড় তুলছিলেন, বিরাট কোহলি যেন শান্ত নদী।

বড় শট খেলার থেকে গ্যাপ বের করে রান করার দিকেই তাঁর তখন বেশি নজর। ৩২ বলে তাঁর রান ছিল ৩৩। সেখান থেকে গিয়ার শিফটিং শুরু করলেন। ততক্ষণে সাজঘরে ফিরে গেছেন ফিল সল্ট। বিরাট কোহলি ওই সময়ে ফিরে এসেছেন নিজের আসল রূপে।

রান তাড়া করাকে তো তিনি অনেক আগেই নিয়ে গেছেন শিল্পের পর্যায়ে। সেই শিল্পের আরেকটা নিদর্শন দেখা গেল রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে। ওপেনিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন। দেবদূত পাদ্দিকাল ১৮ তম ওভারে চার মেরে জয়ের বন্দরে ভেড়ালেন আরসিবিকে।

আর এই ক্ষেত্রটা গড়ে দেওয়া কোহলির। ৪৫ বলে ৬২ রান করেন কোহলি। আইপিএলের ইতিহাসে নিজের ২৫০ তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন বিরাট কোহলি। সেই মাইলফলককে স্মরণীয় করে রাখলেন ক্যারিয়ারের শততম টি-টোয়েন্টি হাফ সেঞ্চুরি দিয়ে। চারটি চার আর দুইটি ছক্কার এই ইনিংস খেলেন প্রায় ১৩৮ স্ট্রাইক রেটে। এমন উইকেটে এরকম একটা অ্যাঙ্করিং নক খুবই জরুরী ছিল আরসিবির। সেজন্যই ১৫ বল আগে জয় নিশ্চিত হয়েছে কোহলিদের।

Share via
Copy link