ফর্মের ছন্দপতন ঘটেছে, চেলসির শুরুর একাদশে জায়গা হারিয়েছেন, পারিবারিক কারণে মানসিক শান্তিটুকুও নেই – এনজো ফার্নান্দেজের সময়টা কাটছিল দুর্বিষহ যন্ত্রণায়। তবে বেদনার মাঝে এক পশলা স্বস্তি হয়ে এলে কনফারেন্স লিগে এফসি নোয়াহর বিপক্ষে ম্যাচটা। নিজের পুরনো রূপে ফিরতে পারলেন তিনি, নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পেরেছেন।
চলতি মৌসুমে কেবল একবার স্কোরবোর্ডে নাম তুলতে পেরেছিলেন এই মিডফিল্ডার, কনফারেন্স লিগ কোয়ালিফিকেশনের ফাইনালের একটা অ্যাসিস্ট করেছিলেন তিনি। এরপর প্রায় তিন মাস গোল তো দূরে থাক অ্যাসিস্টও করতে পারেননি আর।
তবে সব অপেক্ষার অবসান ঘটেছে, নোয়াহর বিপক্ষে পুরোপুরি চেনা ছন্দে ফিরেছেন এই আর্জেন্টাইন; অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করেছেন। মাত্র বারো মিনিটের মাথায় ঝড়ের শুরু, টসিন অ্যাডারাবিয়োকে দিয়ে গোল করান তিনি। কয়েক মিনিট পরেই আবারো অ্যাসিস্ট জমা হয় তাঁর নামের পাশে, কর্নার থেকে অ্যালেক্স ডিসাসিকে খুঁজে নিয়েছিলেন তিনি।
মাত্র দুই মিনিট পরেই পূর্ণ হয় হ্যাটট্রিক, ভাগ্য গুণে পাওয়া বল এনজো দারুণভাবে ঠেলে দিয়েছিলেন জোয়াও ফেলিক্সের দিকে। বাকি কাজ পর্তুগিজ তারকা করেছেন সহজ ভঙ্গিতে। তাতেই শুরুর একাদশে ফেরাটা রাঙিয়ে রাখা সম্ভব হলো এনজোর জন্য। অবশ্য খুব বেশিক্ষণ ধ্বংসলীলা চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তাঁকে উঠিয়ে নেন কোচ মারেসকা।
অবশ্য চেলসির তাণ্ডব তাতে থেমে যায়নি, প্রথমার্ধেই তাঁরা করেছিল গুণে গুণে ছয় গোল। ম্যাচের পরের ভাগে ইন্টেন্সিটি কমে আসলেও আরো দুই গোল করেছিল দলটি। জোড়া গোল করেছেন অফ ফর্মের সাথে লড়তে থাকা ফেলিক্স এবং ক্রিস্টোফার এনকুনকু।
এর মধ্য দিয়ে দারুণ একটা রেকর্ডও গড়েছে ব্লুজরা। কনফারেন্স লিগের ইতিহাসে আট গোলের ব্যবধানে জেতেনি আর কেউই, অর্থাৎ টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ড এখন তাঁদের দখলে। যদিও তাঁদের মূল চ্যালেঞ্জ সামনেই দিন দু’য়েক পর আর্সেনালের মুখোমুখি হতে হবে। আপাতত সেদিকেই মনোযোগ এনজো ফার্নান্দেজের।