হোয়াট ওয়াজ দ্যাট – জাস্ট পালমার ম্যাজিক! সত্যিই তাই। সেই মোহনীয় কয়েক সেকেন্ড ভাষায় বর্ণনা করার জন্য এ ক’খানা শব্দই যথেষ্ট। লেভি কলউইলের কাছ থেকে পাস নিয়েই প্রতিপক্ষের দুই ফুটবলারকে ফাঁকি দিলেন পালমার, তারপর এগিয়ে গেলেন কিছুটা। ডি বক্সে ঢোকার আগেই যেন কিছু হয়নি এমন ভঙ্গিমায় বল ঠেলে দিলেন জালে।
পুরো ব্যাপারটা ঘটতে সময় লেগেছে স্রেফ কয়েকটা মুহূর্ত, গোলরক্ষক কিংবা ফুলহ্যামের ডিফেন্ডার কেউই সেই অর্থে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেননি। গ্যালারিতে আর টিভিসেটের সামনে দর্শকেরা যেভাবে হা করে কেবল দেখেছেন, তাঁরা মাঠে দাঁড়িয়ে কেবল দেখেছেন এই তরুণের প্রদর্শনী।
এই নিয়ে চলতি লিগে বারো গোলের মালিক বনে গেলেন তিনি। সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় তাঁর অবস্থান এখন তিন নম্বরে; এছাড়া অ্যাসিস্ট আছে ছয়টা। সেই তালিকাতেও তাঁর অবস্থান তিনে।
যদিও ইংলিশ তারকার ম্যাজিক ম্লান হয়ে গিয়েছে রদ্রিগো মুনিজের শেষ মুহূর্তের গোলে। সমতায় থাকা ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান, ৯৫ মিনিটের মাথায় কাউন্টার এটাক থেকে গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সাসা লুকিচের অ্যাসিস্ট থেকে সেই যাত্রায় সফরকারীরা পেয়ে যায় জয়ের রসদ।
এর মিনিট দশেক আগেই সমতায় ফিরেছিল দলটা, দারুণ টিম গেমের সুবাদে গোল পান হ্যারি উইলসন। তাতেই রচিত হয় প্রত্যাবর্তনের গল্প, যা পূর্ণতা পেয়েছে মুনিজের পায়ে।
ম্যাচের ৮২ মিনিট পর্যন্ত লিড ধরে রেখেও শেষপর্যন্ত কোন পয়েন্ট ছাড়াই মাঠ ছাড়তে হয়েছে চেলসিকে। এই নিয়ে টানা দুই ম্যাচ জয় শূন্য রইলো তাঁরা। ফলে টেবিল টপার লিভারপুলের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান কমার পরিবর্তে বেড়ে গেলো অনেকটা। সেই সাথে শিরোপার লড়াই থেকে ব্লুজরা সরে গেলো অনেক দূর।