ক্ল্যাসিকাল রাহুলের ক্ল্যাসিক সেঞ্চুরি!

ক্রিকেটের তীর্থভূমিতে লোকেশ রাহুলের আরও ক্ল্যাসিকাল সেঞ্চুরি, যেন মাঠের ঘাসে আঁকা দক্ষ কোনো শিল্পীর এক নিখুঁত শিল্পকর্ম। একেবারে পরিপাটি, পরিশীলিত, চোখ জুড়ানো এক ইনিংস।

ক্রিকেটের তীর্থভূমিতে লোকেশ রাহুলের আরও ক্ল্যাসিকাল সেঞ্চুরি, যেন মাঠের ঘাসে আঁকা দক্ষ কোনো শিল্পীর এক নিখুঁত শিল্পকর্ম। একেবারে পরিপাটি, পরিশীলিত, চোখ জুড়ানো এক ইনিংস।

ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি আসলো রাহুলের ব্যাট থেকে, সালের পর এই নিয়ে লর্ডসের মাটিতে দ্বিতীয়তম। ‘হোম অফ ক্রিকেটে’ সেঞ্চুরি করা বিশেষ কিছু, তবে আরও বিশেষ বোধহয় রাহুলের আজকের ইনিংসটি।

প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড সংগ্রহ পায় অনেক রান। এই উইকেটে বেশ বড়সড় রানই বলা যায়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অল্প রানের মাথায় রাহুলের ওপেনিং পার্টনার জয়সওয়াল ফিরে গেলে একটা আশঙ্কা তৈরি হয়।

করুন নায়ারের সাথে একটা বড় পার্টনারশিপের ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন, তবে কিছু রানের মাথায় ব্যক্তিগত কিছু রানেই তিনিও ফিরে যান। অবিশ্বাস্য ছন্দে থাকা শুভমান গিলও ব্যর্থ হলে সমস্ত দায়িত্ব একার কাঁধেই তুলে নেন রাহুল।

একপ্রান্ত আগলে রাখেন, নীরবে নিজের কাজটা ঠিকই করে যান। কিছু বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন। উদযাপনেও আলাদা কিছু ছিল না, ব্যাট উঁচিয়ে ধরলেন এমনভাবে যেন—এ আর এমন কী!

ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতার ছাপ, চোখেমুখে আত্মবিশ্বাস। রাহুল যেন একটা অদৃশ্য বিশ্বাস হয়ে দাঁড়িয়েছেন, দলের প্রয়োজনে নিয়মিত রান করছেন।

লর্ডসের মাঠ যতটা না ঐতিহাসিক, ততটাই সৌন্দর্যে মোড়া। কিন্তু রাহুলের এই ইনিংসটা ছিল আরও সুন্দর, আরও নির্মল। তাঁর ব্যাটিং স্কোরবোর্ডে শুধু রান তোলেনি, রীতিমতো এক আর্টফর্ম হয়ে উঠেছিল।

একেকটা কভার ড্রাইভ, স্কয়ার কাট, ফ্লিক—সব কিছুতেই ছিল রাজকীয় ছাপ। মনে হচ্ছিল ব্যাট নয়, রাহুল যেন তুলির আঁচড়ে এঁকে চলেছেন নিখুঁত ক্রিকেটীয় চিত্রকলা।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link