বোর্ডে রান থাকলে, ফিল্ডিংটা ঠিকঠাক হলে বাংলাদেশের বোলাররা কি করতে পারেন সেটা আরেকবার প্রমাণ হয়ে গেল। ১৭৮ রানের লক্ষ্য সেট করে দেওয়ার পর প্রথম বল থেকেই আক্রমণে যায় বাংলাদেশ দল। ফলাফল, নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম টি-টোয়েন্টি জয় পেল বাংলদেশ
প্রথম স্পেলে আগুন ঝড়িয়ে যান শরিফুল ইসলাম। তিন ওভার বোলিং করে ১২ রান দিয়ে নেন দুই উইকেট। নতুন বলে স্ট্যাম্পে আক্রমণ করে গেছেন। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে এরকম একটা সূচনা বাংলাদেশ মিস করেছে।
যদিও, এই উইকেটের মিছিল শুরু করেছিলেন শামিম পাটোয়ারি, তুখোড় এক রান আউটে সাজঘরে ফেরার কুশল মেন্ডিসকে।
এই রান আউটটাই ম্যাচের মোমেন্টাম। মোমেন্টাম আরও দিয়েছেন শামিম, আভিস্কা ফার্নান্দোর ক্যাচ ধরেন, গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে ছিলেন অনবদ্য। পাওয়ার প্লের মধ্যেই চার উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
এরপর চারটা ওভারে ফেরার আভাস দিয়েছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা ও দাসুন শানাকা। কিন্তু একাদশতম ওভারে রিশাদ হোসেনের জোড়া আঘাত শ্রীলঙ্কার স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ করে দেয়। ৭৩ রানের মাথায় সপ্তম ব্যাটার হিসেবে ২০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান দাসুন শানাকা।
বাকিটা সময় স্রেফ নিয়ম রক্ষার মিশন। দাসুন শানাকার বিদায়ের পরই শ্রীলঙ্কান গ্যালারি ফাঁকা হতে শুরু করে। শ্রীলঙ্কার হার ততক্ষণে চূড়ান্ত হয়ে গেছে।
ছবির মত সুন্দর এক জয়। ক্ষেত্রটা ব্যাটাররা গড়ে দিয়েছিলেন। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে আলো ঝড়িয়েছেন বোলাররা। স্কোরবোর্ড সফল বলছে কমবেশি সব বোলারকেই। সবচেয়ে সফল অবশ্যই রিশাদ হোসেন। তিন উইকেট নিয়েছেন।
তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে গেছেন শরিফ-সাইফউদ্দিনরা। দু’জনই নিয়েছেন দু’টি করে উইকেট। মিরাজ-মুস্তাফিজরাও উইকেটশিকারের তালিকায় নাম তুলেছেন। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় মাত্র ৯৪ রানে অলআউট করা গেছে শ্রীলঙ্কাকে, ডাম্বুলায় স্মরণীয় এক রাতের ষোলকলা পূর্ণ হয় মাত্র ১৫.২ ওভারেই।