তাওহীদ হৃদয়কে ব্যাটিং স্ট্যান্ট দেখিয়ে দিচ্ছেন। পাশের নেটে গিয়ে আবার রিশাদ হোসেনেরবোলিং গ্রিপ ঠিক করে দিলেন। নেট থেকে ব্যাটিং শেষে মাত্রই উঠে আসা পারভেজ ইমনের পিঠ চাপড়ে দিয়ে বললেন, ওটা মিড অনের ওপর দিয়ে ছক্কা হবে।
বাংলাদেশের অনুশীলনে এক অলরাউন্ডার চরিত্র বাংলাদেশ দলের এই সিনিয়র সহকারী কোচ। তিনি সব খানে আছেন। সবার যেকোনো দরকারে সবার আগে এগিয়ে যান তিনি। আবার সহকারী কোচ হিসেবে বাড়তি অনেক কাজ তাঁর। কে কখন নেটে বোলিং করবে, কখন ব্যাটিং করবে – সেটার তদারকি করেন।
তিনি আসলে এই দলটার সব কাজের কাজী। সিংহলিজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের ঐচ্ছিক অনুশীলন ছিল, সেখানে টেস্ট দলে না থাকা প্রায় সবাই ছিলেন। প্রধান কোচ ফিল সিমন্স মাঠেই নামেননি, বরং তাঁকে অলস শরীর এলিয়ে দিয়ে ছায়ায় দাঁড়িয়ে ফোন টিপতে দেখা যায়।
নিজের কাজ তো বটেই, সালাহউদ্দীন কার্যত এদিন কোচ ফিল সিমন্সের কাজও করে দিলেন। পুরো নেট সেশনের দায়িত্ব ছিল তাঁর একার কাঁধে। একবার তানভির ইসলামের কাছে যাচ্ছেন, তো একবার যাচ্ছেন শামিম হোসেন পাটোয়ারির কাছে। সালাহউদ্দীনের ছোটাছুটির কোনো ইতি-অন্ত নেই। তিনি সর্বত্র বিরাজমান।
এমনিতেই বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের প্রিয়পাত্র এই সালাহউদ্দীন স্যার। সাকিব আল হাসানের শৈশবের কোচ হিসেবে পরিচিত সালাহউদ্দীন বিকেএসপি কানেকশনের সুবাদে জাতীয় দলে আসার আগে থেকেই তাঁর শীষ্যদের প্রতি আন্তরিক। আর জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি নিজেকে উজাড় করেই দিচ্ছেন।
হ্যা, এটা ঠিক সালাহউদ্দীনের এখন পর্যন্ত সরাসরি কোনো সাফল্য নেই বাংলাদেশের হয়ে। বরং, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পারফরম্যান্সের গ্রাফ বাংলাদেশের নিম্নগামী। কেন ধারাবাহিকতা ফিরছে না বাংলাদেশের? এই প্রশ্নের জবাব পাওয়াটাই এখন সালাহউদ্দীন ও বাংলাদেশের মিসিং লিংক।