ইফতেখার আহমেদ নাকি চাকিং করেছেন – এমন অভিযোগ নিউজিল্যান্ডের ব্যাটার কলিন মুনরোর। সেটাও আবার খোদ পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) মঞ্চে, ম্যাচ চলাকালেই। পাকিস্তানে তবে সবই সম্ভব!
ঘটনা সূত্রপাত বুধবার ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও মুলতান সুলতানসের ম্যাচে। পাকিস্তানের ইফতিখারকে কাঠগড়ায় তুলে বিতর্কের জন্ম দিলেন কলিন মুনরো। ইফতিখার আহমেদের বোলিং নিয়ে ‘চাকিং’-এর অভিযোগ তুলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু বনে যান তিনি।
১৬৯ রানের লক্ষ্যের জবাবে ইনিংসের দশম ওভারে তখন ব্যাট করছিল ইসলামাবাদ। ইফতেখার অনেকটা ইয়র্কার সদৃশ একটা ডেলিভারি ছুড়েন মুনরোর পায়ের দিকে। ম্যাচটি তখনও দোদুল্যমান, ইসলামাবাদের রান তাড়া চলছে।
মুনরো তখন ৪০ রানে ব্যাট করছিলেন। বলটি ঠেকানোর পর তাঁকে দেখা যায় ইফতেখারকে উদ্দেশ্য করে কনুই বাঁকিয়ে বোলিংয়ের ভঙ্গিমা নকল করতে — যা স্পষ্টভাবে সম্প্রচারে ধরা পড়ে।
ইফতেখার সঙ্গে সঙ্গেই লেগ আম্পায়ার আহসান রাজার কাছে গিয়ে আপত্তি জানান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, সেখানে ঢুকে পড়েন মুলতান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানও। পিএসএলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে রিজওয়ানকে মুনরোর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।
ইসলামাবাদের অন্যান্য ক্রিকেটাররাও তাতে যোগ দেন। পরে আম্পায়ার ক্রিস ব্রাউনের মধ্যস্ততায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এই ঘটনা ম্যাচের বাইরেও তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
শেষ পর্যন্ত ইসলামাবাদ সাত উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয়। মুনরো আউট হন ৪৫ রানে, ক্যাচ নেন ইফতেখার আহমেদই। বোলিংয়ে উইকেট না পেলেও ইফতিখার ২ ওভারে দেন মাত্র ২০ রান।
ম্যাচ শেষে রিজওয়ান বলেন, ‘আমরা ১৫-২০ রান কম করেছিলাম। কন্ডিশন বদলে গিয়েছিল দ্বিতীয় ইনিংসে। আশা করি সামনে ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’ অবশ্য, মাঠেই ঘটে যাওয়া বিতর্কিত ঘটনা নিয়ে কোনো রকম মুখ খুলেননি তিনি।