সমালোচনার জবাব দিলেন, অপমানের কড়া প্রতিবাদ করলেন। মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে শেখ মেহেদী হাসান জানিয়ে দিলেন, তাঁকে হঠাৎ করে টি-টোয়েন্টি একাদশের বাইরে ঠেলে দেওয়াটা অন্যায় ছিল।
দায়িত্ব দিয়েও সহ-অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে সাইডলাইনে পাঠিয়ে দেওয়ায় তাঁর প্রতি অন্যায় হয়েছে। তাঁকে নিয়ে প্রকাশ্যে তাচ্ছিল্যের ভাষায় টিম ম্যানেজারের কথা বলা ঠিক হয়নি। তবে, এখন এই সব কিছুই অতিত।
শেখ মেহেদী হাসান প্রমাণ করেছেন নিজেকে। তাঁকে ছাড়া যে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি একাদশ বানানো যায় না, সেটা তিনি নিজের পারফরম্যান্স নিয়েই জানান দিয়েছেন।
কুশল পেরেরা, দিনেশ চান্দিমাল ও অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা – থিতু হয়ে গেলে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন তিনজনই। নিজের প্রথম তিন ওভারেই এই তিনজনকে ফিরিয়ে দেন শেখ মেহেদী। রান গুণেন মাত্র ১১ টি।
একাদশ তম ওভারে আসে নিজের চতুর্থ ও শেষ ওভার করতে। সেখানে ফিরিয়ে দেন বিপজ্জনক হয়ে ওঠা পাথুম নিশাঙ্কাকে। ফেরার আগে ৩৯ বলে ৪৬ রান করে যান নিশাঙ্কা।
উইকেট মেইডেন দিয়ে নিজের বোলিং শেষ করেন মেহেদী। চার ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে চারটি উইকেট। চারটা উইকেটই আবার শ্রীলঙ্কা দলের সেরা চার ব্যাটার। প্রত্যাবর্তনটা এর চেয়ে স্মরণীয় হওয়া কোনো ভাবেই সম্ভব ছিল না।
আগেরদিনই আভাস ছিল, মিরাজের জায়গায় ফিরতে পারেন মেহেদী। মেহেদী ফিরলেন, ফিরেই স্মরণীয় করে রাখলেন প্রেমাদাসার স্মৃতি। টিম ম্যানেজমেন্টের চোখে আঙুল দিয়ে বলে দিলেন, চাইলেই শেখ মেহেদীকে চাইলেই টি-টোয়েন্টিতে একাদশের বাইরে রাখা যায় না।