হাজার রঙ বদলের পর কুমিল্লার জয়

সিলেটের অসহায় আত্মসমর্পণ। জয় দিয়ে বিপিএল মিশন শুরু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। নিজেদের প্রথম ম্যাচে সিলেট সানরাইজার্সকে ২ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। যদিও, বার বার রংবদলের ম্যাচের পেণ্ডুলামটা ‍দুলছিল একদম শেষ অবধি।

সিলেটের অসহায় আত্মসমর্পণ। জয় দিয়ে বিপিএল মিশন শুরু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। নিজেদের প্রথম ম্যাচে সিলেট সানরাইজার্সকে ২ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। যদিও, বার বার রংবদলের ম্যাচের পেণ্ডুলামটা ‍দুলছিল একদম শেষ অবধি।

মিরপুরে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৭ রানেই ওপেনিং জুটিতে ভাঙন ধরে সিলেটের। দ্বিতীয় উইকেটে কলিন ইনগ্রাম ও মোহাম্মদ মিথুন ২৬ রানের জুটি গড়লেও এরপর ৪ বলের ব্যবধানে আউট ইনগ্রাম ও মিথুন। ইনগ্রাম ২০ ও মিথুন ফিরেন মাত্র ৫ রানে। দ্রুতই ফিরেন সিলেট অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনও। তানভীর ইসলামের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৩ রানেই ফিরেন মোসাদ্দেক।

এরপর দায়িত্ব নিয়ে খেলতে থাকা রবি বোপারা ব্যক্তিগত ১৭ রানে ফিরলে ৫৮ রানেই ৫ উইকেট হারায় সিলেট। দলীয় ৬৫ রানে ১৪ তম ওভারে অলক কাপালি ও মুক্তার আলী ফিরলে মাত্র ৬৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সিলেট। শেষ দিকে সোহাগ গাজীর ১২ ও কেসরিক উইলিয়ামসের ৯ রানে ৫ বল বাকি থাকতে মাত্র ৯৬ রানেই গুড়িয়ে যায় সিলেট। কুমিল্লার পক্ষে মুস্তাফিজ, নাহিদুল, শহিদুল শিকার করেন ২টি করে উইকেট।

জবাবে লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে দলীয় ১৩ রানেই ফাফ ডু প্লেসিসকে হারায় কুমিল্লা। সোহাগ গাজীর বলে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ২ রানে ফিরেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে মুমিনুল হলের সাথে ২১ রান যোগ করতে গাজীর দ্বিতীয় শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ১৬ রানে আউট হন ক্যামেরন ডেলপোর্ট। ঝড়ো শুরু করলেও বেশুদূর যেতে পারেননি ইমরুল কায়েস। আরেকপ্রান্তে থাকা মুমিনুল হক দলীয় ৪৪ রানে ফিরেন মোসাদ্দেকের শিকার হয়ে। একই ওভারে ৪ বলে ১০ রানে ফিরেন ইমরুল।

৪৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন বিপাকে কুমিল্লা। নাহিদুলের সাথে দলীয় রান দশ যোগ করতেই ৫৫ রানে আউট আরিফুল হকও। ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারায় কুমিল্লা। ম্যাচে তখন টান টান উত্তেজনা। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে নাহিদুলের সাথে ২৭ রানের জুটিতে কুমিল্লাকে জয়ের ভীত গড়ে দেন আফগান তারকা করিম জানাত। এরপর দলীয় ৮২ রানে ১৩ বলে ১৮ রানের ইনিংস শেষে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন জানাত। তবে ততক্ষণে ম্যাচ কুমিল্লার নিয়ন্ত্রণে।

শেষ ৬ ওভারে জয়ের জন্য কুমিল্লার প্রয়োজন মাত্র ১৪ রান, হাতে তখনো ৪ উইকেট। দলীয় ৮৪ রানে নাজমুল অপুর বলে ১৬ রানে নাহিদুল ফিরলে আবারো ম্যাচে ফিরে সিলেট। এরপর দলীয় ৮৮ রানে শহিদুলকে নিজের তৃতীয় শিকার বানিয়ে ম্যাচে আবারও আধিপত্য জাগায় অপু। ১৭ ওভার শেষে ৮৯ রানে তখন কুমিল্লার ৮ উইকেট নেই। নিজের শেষ ২ ওভারে মাত্র ২ রানে ২ উইকেট নেন নাজমুল অপু।

শেষ ২ ওভারে দরকার ৬ রান, কুমিল্লার হাতে মাত্র ২ উইকেট। ১৯ তম ওভারেই শ্বাসরুদ্ধকর এক জয় পায় কুমিল্লা।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

সিলেট সানরাইজার্স – ৯৬/১০ (১৯.১ ওভার); ইনগ্রাম ২০(২১), বোপারা ১৭(১৯), গাজী ১২(১৯); মুস্তাফিজ ৪-০-১৫-২, শহিদুল ৩.১-০-১৫-২, নাহিদুল ৪-০-২০-২।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স – ৯৭/৮ (১৮.৪ ওভার); করিম জানাত ১৮(১৩), নাহিদুল ১৬(১৬), ডেলপোর্ট ১৬(১৯); নাজমুল অপু ৪-০-১৭-৩, গাজী ৪-০-৩০-২, মোসাদ্দেক ৪-০-১০-২।

ফলাফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ২ উইকেটে জয়ী।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...