আফ্রিকার করবিন ‘বশে’ কাবু পাকিস্তান

অপরপ্রান্ত থেকে আরেকটু সাপোর্ট পেলে হয়ত হাঁকিয়ে ফেলতেন সেঞ্চুরিটাও। যদিও আরেক বিরল রেকর্ডের মালিক বনে গেছেন তিনি। অভিষেক টেস্টে ফিফটি ও চার উইকেট শিকারী একমাত্র আফ্রিকান বোলার বনে গেছেন তিনি।

করবিন বশ, সবুরে মেওয়া ফলালেন যিনি। অভিষেক টেস্টের প্রথম বলে উইকেট সহ প্রথম ইনিংসে নিলেন চার উইকেট। এরপর ব্যাট হাতে নয় নম্বরে নেমে হাকাঁলেন ফিফটি। পাকিস্তানি পেস তান্ডবের বিপক্ষে খেলেছেন আগ্রাসী ইনিংস। দলকে এনে দিয়েছেন ৯০ রানের গুরুত্বপূর্ণ লিড। ৯৩ বলে ৮১ রানের ইনিংসটায় বাউন্ডারিই আছে ১৫টা!

করবিনের বয়সটা ৩০ পেরিয়ে গেলেও, এতটা বছর শুধু কাটিয়েছেন অপেক্ষায়। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করলেও কখনোই যে খুলেনি জাতীয় দলের দরজাটা। ঠিক যেন তার বাবার প্রতিচ্ছবি। তার বাবা টেরটিয়াস বশের ঘরোয়া ক্রিকেটে ৩০০ এর উপরে উইকেট থাকলেও জাতীয় দলে খেলতে পেরেছিলেন মাত্র এক টেস্ট আর দুইটি ওয়ানডে। কারবিনও ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রায় এক দশক পারফর্ম করে অবশেষে পেলেন প্রোটিয়াদের টেস্ট ও ওয়ানডে ক্যাপটা।

বাবার মত হয়ত হারিয়ে যেতে চাননি। তাইতো সবটা নিগড়ে দিলেন ক্রিকেট মাঠে। অভিষেক টেস্টের প্রথম বলেই উইকেট নিলেন তিনি। বিশ্বের ২৫ তম এবং পঞ্চম আফ্রিকান হিসাবে এই রেকর্ড করেন তিনি। শান মাসুদকে দিয়ে শুরু এরপর একে একে তুলে নেন কামরান গুলাম, সৌদ শাকিল, আমির জামালদের উইকেট। পাকিস্তানকে আটকে দেন মাত্র ২১১ রানে।

 

ব্যাট হাতে নেমে দক্ষিন আফ্রিকাও তেমন সুবিধা করতে পারে নি। এইডেন মার্করাম ৮৯ রানে ফিরে গেলে চাপে পড়ে আফ্রিকা। তখন মাত্র দুই রানের লিড তাদের। সেইখান থেকেই উল্টো কাউন্টার অ্যার্টাক শুরু তার। কাগিসো রাবাদা আর পিটারসনকে নিয়ে যুক্ত করলেন আরও ৮৮ রান। পাকিস্তানি পেসারদের দাপটের বিপক্ষে বুক চিতিয়ে লড়াইটা চালিয়ে গেছেন তিনি।

নাসিম শাহ, আমির জামাল, মোহাম্মাদ আব্বাসরা শেষ অবধি তার উইকেটটা তুলতেই পারেননি। ৮১ রানে অপরাজিত থেকেই সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। অপরপ্রান্ত থেকে আরেকটু সাপোর্ট পেলে হয়ত হাঁকিয়ে ফেলতেন সেঞ্চুরিটাও। যদিও আরেক বিরল রেকর্ডের মালিক বনে গেছেন তিনি। অভিষেক টেস্টে ফিফটি ও চার উইকেট শিকারী একমাত্র আফ্রিকান বোলার বনে গেছেন তিনি।

করবিন বশের কাছেই বশ মেনেছে পাকিস্তান দল। ব্যাট-বল দু’টিতেই দ্যুতি ছড়িয়ে অভিষেকটা স্মরণীয় করে রাখলেন। দক্ষিন আফ্রিকাকেও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পথেই।

 

Share via
Copy link