ভ্যালেন্টাইনস ডে তো চলে গেল এই কিছুদিন আগেই।
ভালবাসার এই দিনে ক্রিকেটপ্রেমীরা নিশ্চয়ই তাঁদের ভালবাসা ‘ক্রিকেট’-কেও খানিকটা মনে রেখেছে। সাথে হয়তো মনে পড়েছে ক্রিকেটারদের সাড়া জাগানো সব প্রেমের গল্পও। আসলে, ক্রিকেট আর রোম্যান্স দুটোকে আলাদা করে দেখা মুশকিল। কিন্তু আজকে আমরা এমন একটা একাদশ দাঁড় করাব যাদের নামের মধ্যেই আছে ভালবাসা! কিভাবে? বলছি!
- ডব্লিউ.জি গ্রেস (অধিনায়ক)
গ্রেসের নামের মধ্যে ভালবাসা কোথায় আছে? রাফ ওয়ালডো এমারসনের সেই বিখ্যাত উক্তিটা মনে আছে? ‘বিউটি উইদাউট গ্রেস ইজ দ্যা হুক উইদাউট দা বেইট’। এবার বলুন, ‘গ্রেস’ নামের মাঝে ভালবাসা নেই! অবশ্যই আছে। আর তাই আমাদের একাদশে আমরা গ্রেসকে রেখেছি। আর গ্রেস খেললে তিনি ছাড়া একাদশকে আর কে-ই বা নেতৃত্ব দেবে!
- জো ডার্লিং
জো ডার্লিং অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২১ টেস্ট খেলেছেন। নিজের সময়ে তিনি দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান। সাউথ অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটসম্যানকে ভালবাসার একাদশে রাখার কারণ হল ‘ডার্লিং’ শব্দটা। নিখাদ বাংলাতে যার অর্থ ‘প্রিয়তমা’ ।
- ফিল মিড
‘মিড’ হল এক ধরণের মিষ্টি পানীয়। এটি মধু দিয়ে তৈরি করা হয়। এখন আপনিই বলুন, মিড ছাড়া একটা রোমান্টিং ডেট কিভাবে হবে? আর তাই ১৯২০ এর ইংলিশ টপ অর্ডারের এই ব্যাটসম্যানকে একাদশে নেয়া হয়েছে। ক্যারিয়ারজুড়ে তিনি খেলতেন নম্বর ৩ নম্বরে। এই একাদশেও নম্বর ৩ জায়গাটা তাঁরই ।
- অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার (উইকেটরক্ষক)
অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, জিম্বাবুইয়ান এই ব্যাটিং মায়েস্ত্রোকে কে না চেনে! চিনতে পারলে এবার ভাবুন, ‘ফ্লাওয়ার’ ছাড়া কি কোন প্রেম হয়? হয় না। আর তাই হয়না ‘ফ্লাওয়ার’ ছাড়া ভালবাসার একাদশও। আমাদের একাদশের উইকেটরক্ষক হিসেবে তাই থাকছেন অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার!
- মার্টিন লাভ
ভালবাসার একাদশ হবে আর ‘লাভ’ থাকবেনা তা কি হয়? অস্ট্রেলিয়ার এই ক্রিকেটারকে আমাদের দলে রাখতেই হত।
- ব্রায়ান রোজ
‘ফ্লাওয়ার’ অবশ্য আছেই। কিন্তু ‘ভ্যালেন্টাইন’ স্পেশাল ফুল তো সেই ‘রোজ’ ই। ব্রায়ান রোজকে তাই একাদশে রাখার কোন ব্যাখ্যার দরকার নেই। ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও সমারসেটের এই ক্যাপ্টেন গ্রেস আর ডার্লিং এর সাথে দলের থিংক-ট্যাংক এ ভূমিকা রাখতে পারেন!
- মদন লাল
ভালবাসার রঙ কি? লাল নিশ্চয়ই। তা সে হিসেবে এ একাদশে মদন ‘লাল’ কে না রাখার তো বিশেষ কোন কারণই নেই তাই না? ভারতীয় এই ক্রিকেটার লোয়ার অর্ডারেও রাখতে পারেন কার্যকরী ভূমিকা। সেই সাথে এই খোঁজখবর ওয়ালা লোকেরা নিশ্চয়ই কামদেব মদনের নামও জানেন!
- শেন বন্ড
ভালবাসা বলি আর যেকোন সম্পর্কের কথাই ধরি, সেখানে ‘বন্ধন’ না থাকলে কি আর জমে? আর তাই যদি হয়, এ একাদশে ‘বন্ড’ না থাকলে তো খুব খারাপ হয়ে যাবে। এছাড়াও, একাদশে শেন বন্ড বোলিং লাইনআপে বাড়তি কিছু যোগ করতে পারেন!
- ফেইথ কৌলথহার্ড
‘ফেইথ’ ই হল ভালবাসার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। সাউথ অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার ‘ফেইথ’ কে তাই আমাদের একাদশে রাখলাম। ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে বল হাতে দারুণ সময় কাটিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই প্রমিলা ক্রিকেটার।
- লিলি রানী বিশ্বাস
‘বিশ্বাস’ ব্যাপারটা একটু বেশিই জরুরী, ভালবাসার একাদশে তাই আমরা দুইজন ‘বিশ্বাস’ যুক্ত করলাম । বাংলাদেশী এই খেলোয়াড় অবশ্য সীমিত ওভারের ক্রিকেটে খুব বেশি ম্যাচ খেলেননি। কিন্তু তাতে কি?
- আলফ ভ্যালেন্টাইন
‘ভ্যালেন্টাইন’ কে একাদশে রাখার কোন কৈফিয়ত দেওয়া উচিত বলে মনে হয় না। ভালবাসার একাদশে ‘ভ্যালেন্টাইন’ থাকবেন না তো কে থাকেবেন?
- পিটার ইয়ং-হাজবেন্ড (দ্বাদশ খেলোয়াড়)
‘লাভ’, ‘ফেইথ’, ‘বিশ্বাস’, ‘ভ্যালেন্টাইন’, ‘বন্ড’ শেষে আমরা একাদশে ‘পরিণতি’ ঘটিয়ে ‘হাজবেন্ড’ যুক্ত করে দিলাম। সব সম্পর্কের পরিণতি দরকার, আমাদের একাদশের নয় কেন?
অবশ্য এ একাদশে ভারতের শচীন বেবি কে যুক্ত করা যেত! কেন যুক্ত করা যেত সেটা উহ্য থাক, সব কারণ কি আর খোলাখুলি লেখা যায়! ভালবাসার মানুষকে আপনি কি নামে ডাকেন তা কি জানেন না নাকি? আবার চাইলে ভারতের কেরালা রাজ্য দলের ক্রিকেটার ও অনূর্ধ্ব- ১৯ দলে খেলা রোহান প্রেমকেও রাখা যায় এখানে।
স্টেডিয়াম
ভালবাসার এই বিশেষ একাদশের ম্যাচ খেলার উপযুক্ত একটা স্টেডিয়ামও আমরা ঠিক করে রেখেছি। শ্রীলঙ্কার ‘প্রেমাদাসা’ স্টেডিয়াম। কারণ এ স্টেডিয়ামেই ‘প্রেম’ আছে। আর যেখানে প্রেম আছে, সেখানেই এ একাদশ খেলবে!
আম্পায়ার
আম্পায়ার ঠিক করে দেওয়া অবশ্য ‘ফেয়ার প্লে’ হবে না। কিন্তু তাও আমরা চেষ্টা করব এ একাদশের ম্যাচে এমন কেউ থাকুক যার কাছে ভালবাসা আছে। আর তার জন্য ‘টিম ডিয়ারলাভ’ এর চাইতে যোগ্য আর কে আছে!