বৈশ্বিক মহামারী ২০২০ সালে ব্যক্তি থেকে প্রতিষ্ঠান সবকিছুর উপরে এক ভয়াবহ ঝড় আঘাত হেনেছে। সব পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দা প্রভাব ফেলেছে সমাজের সর্বস্তরে। কেউ হারিয়েছেন সবকিছু আবার কেউ হারিয়েছেন তার রুটিরুজির অন্যতম অবলম্বন – কেউ বদলেছেন তাঁর পেশা।
ক্রীড়াঙ্গনও সবকিছুর মতের ব্যতিক্রম নয়। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে নেদারল্যান্ডসের ক্রিকেটার পল ফন মীকারেনের সাথে। করোনা পালটে দিয়েছে তাঁর পেশাও। খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উবার ইটসের হয়ে বাড়ি বাড়ি খাবার সরবারহের কাজ করছেন তিনি।
এ বছর অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিলো। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে তা এক বছর পিছিয়ে ২০২১ সালে তার সূচি নির্ধারিত হয়েছে। এবারের আসরে র্যাংকিংয়ে প্রথম দশটি দেশের পাশাপাশি আরও ছয়টি দেশের অংশগ্রহণ করার কথা ছিলো; দেশগুলো হলো নেদারল্যান্ডস, পাপুয়া নিউগিনি, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, নামিবিয়া ও ওমান। এই ছয়টি দেশকে প্রাক-গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সাথে খেলে সুপার ১২ পর্বে জায়গা করে বড় দলগুলোর সাথে নিজেদের জায়গা পাকাপাকি করার কথা ছিলো।
এ সকল দেশগুলোর জন্য ক্রিকেটের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে জায়গা পেতে কম ধকল পোহাতে হয় না। খেলার জন্য তাদের তেমন কোন আর্থিক যোগানদাতা নেই আবার একইসাথে বড় বড় গণমাধ্যমগুলোও তাদের দিকে নারাজ দৃষ্টিতে তাকায়। তাই তাদের দলে কোন ভালো খেলোয়ার আসলেও প্রদীপের ছায়ায় পরে থাকে। তাই ক্রিকেটের যাত্রা তাদের জন্য দুর্গম এক পথ। অনেকেই সেই পথে হারিয়ে যান।
তবে যাই হোক, নেদারল্যান্ডসের ক্রিকেটার পল ভ্যান মিকারেন সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন যে তিনি এখন উবার ইটসের হয়ে ফুড ডেলিভারীর কাজ করছেন। তিনি আইসিসির এক টুইট রিটুইট করে লিখেছেন, ‘এখন আমার ক্রিকেট খেলার কথা ছিলো। এই শীতের জীবিকার প্রয়োজনে এখন উবার ইটসে ফুড ডেলিভারীর কাজ করছি। জীবনের মোড় কীভাবে পালটে যায়! সবাই ভালো থাকো।’
বর্তমানে ২৭ বছর বয়সী এ ক্রিকেটারের ২০১৩ সালের কেনিয়ার বিপক্ষে অভিষেক ঘটেছিলো। এরপরে তিনি পাঁচটি একদিনের ম্যাচ ও ৪১ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন; যেখানে তিনি যথাক্রমে চারটি ও ৪৭ টি উইকেট নিয়ে দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এছাড়াও তিনি কাউন্টি ক্রিকেটে সামারসেটের হয়ে খেলেছেন।