ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা বিশ্বজুড়েই খ্যাতিমান। ক্রিকেটাররাও তাই। তবে, উপমহাদেশে তাঁদের জনপ্রিয়তা অন্য যেকোনো জায়গা থেকে বেশি। সিনেমার নায়ক কিংবা বিনোদন জগতের অন্য যেকোনো তারকা থেকে এখানে ক্রিকেটাররাই বেশি জনপ্রিয়। এখানকার সমর্থকরাও পাগলাটে। তাই তো ক্রিকেটারদের বাধ্য হয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করার নজীরও পাওয়া যায়।
- সৌরভ গাঙ্গুলি (ভারত)
২০১৮ সালে প্রকাশিত আত্মজীবনী ‘আ সেঞ্চুরি ইজ নট অ্যানাফ’-এ সৌরভ গাঙ্গুলি মজার একটা ঘটনার কথা লিখেছেন। তিনি একজনপুরাদস্তুর পাঞ্জাবী শিখের গেট আপে দূর্গা পূজা দেখতে গিয়েছিলেন ভিড় এড়াতে। স্ত্রী ডোনা বাড়িতে একজন পেশাদার মেক আপ আর্টিস্ট নিয়ে এসেছিলেন। তিনিই প্রিন্স অব ক্যালকাটাকে সাজিয়ে দেন।
যদিও, গোল বাঁধে অন্য জায়গায়। পথে এক পুলিশ ইন্সপেক্টরের সন্দেহ হয়। তিনি সৌরভকে চিনতেও পারেন। ঘটনায় সৌরভ লজ্জায় লাল হয়ে যান। তিনি নিজের বইয়ে লিখেছেন, ‘আমি লজ্জায় পড়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু ব্যাপারটা গোপন রাখার অনুরোধ করি। ওই সময় কি পরিমাণ ভিড় হয় কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। আসলে বুঝতে হবে, দূর্গা মা তো বছরে একবারই আসেন।’
- ব্রেট লি (অস্ট্রেলিয়া)
২০১৮ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) চলার পথে কিংবদন্তি সাবেক অজি পেসার ব্রেট লি এক জীর্ণ বুড়োর গেট আপ নিয়েছিলেন। তিনি আসলে বাচ্চাদের সাথে মজা করতেই এটা করেন। মুম্বাই পার্কে তিনি বাচ্চাদের সাথে জোরাজুরি করে খেলতে নেমে যান। কিছু বড় শট আর দ্রুত গতির বোলিংয়ের পর তিনি ছদ্মবেশ ছেড়ে বের হন। তখন বিষয়টা সবার কাছেই পরিস্কার হয়।
- ইউসুফ পাঠান (ভারত)
দানবীয় এই ব্যাটসম্যান ছদ্মবেশ নিয়েছিলেন নিশান ইন্ডিয়ার একটা প্রচারণার অংশ হিসেবে। মুখে এক গাদা মেকাপ আর নকল চুলদাড়ি লাগিয়ে তিনি দিল্লীতে সৌখিন ক্রিকেটারদের সাথে খেলতে নেমে যান। তিনি ‘টিপিকাল আঙ্কেল’দের মত করতে থাকেন যারা সুযোগ পেলেই কিশোর-তরুণদের ব্যাটিং টেকনিকের জ্ঞান দেয়। ঘণ্টাখানেক এমন চলার পর ছেলে-পেলে যখন চূড়ান্ত বিরক্ত তখন নিজের কিছু আইকনিক আর পাওয়ারফুল শট খেলেন পাঠান। মেকাপ তুলে ফেলে চমকে দেন বাচ্চাদের।
- ম্যাথু হেইডেন (অস্ট্রেলিয়া)
প্রথমে খেলোয়াড়, এরপর ধারাভাষ্যকার – আইপিএলের নানা প্রয়োজনে ম্যাথু হেইডেনকে প্রায়ই আসতে হয় ভারতে। তিনি মুখে-মাথায় নকল চুল-দাঁড়ি লাগিয়ে চেন্নাইয়ের জনবহুল টি নগর শপিং মলে হাজির হন। মাথায় চেন্নাইয়ের মাছওয়ালাদের হ্যাট। আসলে তিনি এটা করেন, সাবেক সতীর্থ শেন ওয়ার্নের দেওয়া চ্যালেঞ্জে। ওয়ার্ন তাঁকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন এক হাজার রুপির মধ্যে একটা ব্র্যান্ড নিউ লুঙ্গি কিনে আনতে হবে।