দুই দিনের এই দুনিয়ায়…

ক্রিকেট ইতিহাসে কম বয়সে মৃত্যু হয়েছে এমন কয়েকজনের মধ্যে ফিলিপ হিউজের কথা আমাদের সবারই জানা। প্রাণঘাতি এক বাউন্সারের আঘাতে মাত্র ২৬ বছর বয়সেই দুনিয়া ছাড়তে হয় এই অজি ওপেনারকে। হিউজ ছাড়াও আরও কয়েকজন আছে যারা অল্প বয়সেই বিদায় নিয়েছেন দুনিয়া থেকে।

মৃত্যু হল জীবনের সবচেয়ে নির্মম এক সত্য। জীবনের সবচেয়ে বড় চমক মৃত্যু। কার জীবন কখন শেষ হবে সেটা কেউই জানে না। প্রত্যেককেই মৃত্যুর স্বাদ পেতে হবে। কেউ হয়ত আগে আবার কেউ একটু পরে। ক্রিকেট পাড়ায় বেশ কিছু ক্রিকেটার অল্প বয়সেই জীবনের মায়া ত্যাগ করে পাড়ি জমিয়েছেন পরপারে।

ক্রিকেট ইতিহাসে কম বয়সে মৃত্যু হয়েছে এমন কয়েকজনের মধ্যে ফিলিপ হিউজের কথা আমাদের সবারই জানা। প্রাণঘাতি এক বাউন্সারের আঘাতে মাত্র ২৬ বছর বয়সেই দুনিয়া ছাড়তে হয় এই অজি ওপেনারকে। হিউজ ছাড়াও আরও কয়েকজন আছে যারা অল্প বয়সেই বিদায় নিয়েছেন দুনিয়া থেকে।

  • রুনাকো মর্টন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে প্রতিপক্ষকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেওয়ার প্রতিভা নিয়ে জাতীয় দলে এসেছিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা রুনাকো মর্টন। তবে নিজের প্রতিভার সুবিচার করতে পারেনি এই ক্যারিবিয়ান।

ওয়ানডেতে লম্বা সময় খেললেও বাকি দুই ফরম্যাটে থিতু হতে পারেননি তিনি। একদিন এক ম্যাচ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় পরপারে পাড়ি জমান রুনাকো। মাত্র ৩৩ বছর বয়সেই জীবনের মায়া ত্যাগ করে দুনিয়া থেকে বিদায় নেন তিনি।

  • হ্যানসি ক্রনিয়ে (দক্ষিণ আফ্রিকা) 

দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা অধিনায়ক হ্যানসি ক্রনিয়ে খেলোয়াড় হিসেবেও ছিলেন অন্যতম সেরাদের একজন। কিন্তু ফিক্সিং কান্ডে জড়িয়ে নিজ সুনাম ক্ষুন্ন করেন। ১৩৮ ওয়ানডের মধ্যে তার অধীনে ৯৯টি ম্যাচেই জয় পায় প্রোটিয়ারা।

৩২ বছর বয়সে বিমান দূর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা যান হ্যানসি ক্রনিয়ে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে কোস্টাল টাউনের কাছে এক পর্বতে বিধ্বস্থ হয়ে মারা যান ক্রনিয়ে। চারবছর পর তদন্ত রিপোর্টে জানা যায় পাইলটের অসতর্কতার কারণেই ক্রনিয়ের মৃত্যু হয়।

  • ম্যালকম মার্শাল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

পেসার তৈরিতে ক্রিকেটের জন্মলগ্ন থেকেই ক্যারিবিয়ানদের বেশ নামডাক। সত্তর-আশির দশকে ভয়ংকর সব পেসারদের মধ্যে একজন ছিলেন ম্যালকম মার্শাল। ৮১ টেস্টে ২০.৯৪ গড়ে শিকার করেছেন ৩৭৬ উইকেট; বোলারদের মধ্যে অন্যতম সেরা গড় এটি। মার্শালের স্যুইং আর বাউন্স ছিল ব্যাটারদের জন্য আতংক।

অবসরের পর কোচিং পেশায় নিযুক্ত হন। এরপরই তাঁর ক্যান্সার ধরা পড়ে। বেশিদিন এই মরণব্যাধির সাথে লড়তে পারেননি তিনি। মাত্র ৪১ বছর বয়সেই পাড়ি জমান পরপারে। মৃত্যুর সময় মার্শালের ওজন ছিল মাত্র ২৫ কেজি।

  • মানজারুল ইসলাম রানা (বাংলাদেশ)

মাত্র ২২ বছর বয়সেই মারা যান বাংলাদেশী বাঁ-হাতি স্পিনার মানজারুল ইসলাম রানা। চুই ঝাল খেতে বেশ পছন্দ করতেন। একদিন বন্ধুর সাথে বাইক নিয়ে খেতে যাচ্ছিলেন চুই। মাঝপথেই মিনিবাসের ধাক্কায় সড়কেই প্রাণ হারালেন।

এক মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় শেষ যায় রানার জীবনের আলো। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৬ টেস্ট ও ২৫ ওয়ানডে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের এই সম্ভাবনাময় তারকা স্পিনার শিকার করেছেন মোট ২৯ উইকেট।

  • ফিলিপ হিউজ (অস্ট্রেলিয়া)

যতদিন খেলেছেন, ছিলেন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। অস্ট্রেলিয়ান পেসার শন অ্যাবোটের এক বাউন্সার কেড়ে নিল ফিলিপ হিউজের প্রাণ।

দুইদিন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াইয়ের পর দুনিয়া থেকে বিদায় নেন এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৫ টেস্ট, ২৫ ওয়ানডে ও ১টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এই ওপেনার। মাথায় বলের আঘাতে মাত্র ২৬ বছর বয়সে মারা যান হিউজ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...