কাতার বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় জয়গুলোর একটি এসেছে পর্তুগালের সৌজন্যে। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ৬-১ গোলের বড় জয়টি আবার এসেছে তাদের দলের বড় তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ছাড়াই। এমন জয়ের পরে ফুরফুরে মেজাজেই থাকার কথা পর্তুগিজদের।
তবে সে ম্যাচের কিছু সময় না গড়াতেই পর্তুগাল শিবিরের অস্বস্তিদায়ক পরিবেশের এক খবর বেশ ক’টি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে চাওর হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, কাতার বিশ্বকাপের ক্যাম্প থেকেই নাকি রোনালদো ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন!
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে শুরুর একাদশে ছিলেন না রোনালদো। গুঞ্জন আছে, পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের প্লেয়িং স্টাইলই নাকি রোনালদোর পছন্দ হচ্ছে না। তবে কোচের সাথে তাঁর বিবাদের শুরু হয় দক্ষিণ কোরিয়ার ম্যাচের পর থেকে। সে ম্যাচে শুরুর একাদশে রোনালদো থাকলেও তাঁকে ৬৪ মিনিটে নামিয়ে দেওয়া হয়। আর মাঠ থেকে উঠে আসার সে সময়ে রোনালদো কোচকে বলেছিলেন, ‘আপনি আমাকে বাদ দেওয়ার জন্য দেখি খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।’
ধারণা করা হয়, সান্তোস এমন প্রতিক্রিয়া খুব ভালভাবে নেননি। এমন প্রতিক্রিয়ায় কোচ তাঁর অসন্তুষ্টির কথা নিজেও জানিয়েছিলেন। আর এর পরের ম্যাচেই সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে নক আউট পর্বের ম্যাচে রোনালদোকে বাদ দেন তিনি।
এরপর বহু আলোচনা সমালোচনার জন্ম হলেও পর্তুগাল কোচকে নিয়ে তেমন নেতিবাচক কোনো মন্তব্য দেখা যায়নি কারণ এ বিশ্বকাপের সেরা জয়টা তিনি রোনালদো ছাড়াই এনে দিয়েছেন। তবে রোনালদোর বোন ঠিকই এটিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট লেখেন। যেখানে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়কে শুরু থেকে না দেখতে পাওয়া লজ্জাদায়ক।’ মূলত এই পোস্টটি ঘিরেই কোচ আর রোনালদোর মধ্যে বিবাদের ব্যাপারটা আরো স্পষ্ট হয়।
যদিও পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন থেকে পুরো ব্যাপারটিই গুজব বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়। তারা তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘রোনালদো থেকে বিশ্বকাপের দল থেকে ছেড়ে যাওয়ার কোনো হুমকিই তারা পায়নি।’
পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন এমন দাবি করলেও পরিস্থিতি বলছে অন্য কথা। কারণ পর্তুগালে বুধবারের অনুশীলনে দেখা যায়নি রোনালদোকে। এমনকি বিকল্প খেলোয়াড়দের সাথে যে তাঁর অনুশীলন করার কথা ছিল সেটিও তিনি করেননি। সবমিলিয়ে পর্তুগালের ভেতরের অবস্থাটা বেশ প্রশ্ন জাগানিয়া। এখন দেখার বিষয়, এর পুরোটাই কি গুজবের মধ্যে আটকে থাকে নাকি অপ্রত্যাশিত তিক্ত কিছু পরিস্থিতি সামনে চলে আসে এই কাতার বিশ্বকাপের শেষের অধ্যায়ে।