‘আর তো কেউ বলতে পারবে না, যে আমরা চেষ্টা না করেই দেশে ফিরেছি’
ব্যক্তিগত স্তরে পর্তুগালের এই লোকটার পারফরমেন্স চোখে লেগে থাকার মতো। দেশের জার্সিতে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা থেকে পাঁচটা ব্যালন ডি অর, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ইউরো কাপ, কোপা ইতালিয়া, স্পেনের লা লিগা, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ – ভরা ভরা ট্রফি নিয়েও সে বসে থাকে না।
আরো পড়ুন
- এক রাতের হৃদয়ক্ষরণ-হৃদয়কাঁপন
- মাদেইরার আগুন, রোজারিওর বৃষ্টি
- মাঠের রাজা, মাঠের বাইরেও
- প্রেম মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন শেষ হয়
- তোমাকে ঘিরে পথগুলো সব সরে যায়
সত্যজিৎ রায়ের চরিত্র অপুর সাথে এর একটাই মিল। এর অভাব নেই, এর কোনও দাবীদাওয়া নেই কিন্তু তবুও সে থামছে না। পালাচ্ছে না, এসকেপ করছে না। সে জানে অফ দ্য বলে দুরন্ত গতিতে দৌড়ের মধ্যেই একটা গোটা জীবন লুকিয়ে আছে। পর্তুগালকে পৃথিবীর মধ্যে একটা অসুখী দেশ হিসেবে ধরা হয়।
ইউরোপের প্রান্ত থেকে উঠে আসা সে দৌড়চ্ছে, এই বয়সেও সমান তালে। সমান ছন্দে। সে গোলের গন্ধ পেয়ে দৌড়য়, জীবনের ছন্দ পেয়ে দৌড়য়। থামে না। সে জানে, দৌড়নোর মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে এক বিরাট বেঁচে থাকার স্বাদ।
পরের প্রজন্ম পড়ুক রোনালদো নামের উপন্যাসটা। জীবনের মানে বুঝুক। ঘাত-প্রতিঘাতে পর্যুদস্ত হওয়ার পর দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার আগে ঘুরে দাঁড়ানোর শিক্ষাটা পাক। ট্রফির পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া মানেই জীবন শেষ নয়। আরও ছুটতে হবে, আরও ভাঙতে হবে, আরও অনেকবার পড়ে যেতে হবে, পড়ে গিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে ছুটে গোলটা করেও আসতে হবে। শেষ ইউরো হলেও, এই লেসনটা সবে শুরু।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো একটা স্বপ্নের নাম। ঘাম, পরিশ্রম আর ডেডিকেশন মিলিয়ে একটা স্বপ্ন। তার মধ্যে ঢুকে পড়তে পারলে, আর নিস্তার নেই। আগামী প্রজন্মের জন্য তোলা রইল সে স্বপ্নের পাণ্ডুলিপি।