টেস্ট খেলতে না চাওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে পাকিস্তানের পেসার হারিস রউফকে। সমালোচনার তীব্র স্রোতে নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল তাঁর মানসিক অবস্থা, এমনকি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার কথাও ভেবেছিলেন তিনি। যদিও বন্ধুদের সাথে পরামর্শ করে আপাতত সেই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের জন্য তুলে রেখেছেন।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরপরই টেস্ট সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল পাকিস্তান। সেই সিরিজে হারিস রউফকে দলে রাখতে চেয়েছিল পাকিস্তানের টিম ম্যানেজম্যান্ট। কিন্তু নির্বাচকদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এই পেসার, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের অনভিজ্ঞতা আর চোট শঙ্কার কথা জানিয়ে টেস্ট খেলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
এরপরই শুরু হয় নেতিবাচক আলোচনা, শুধু সাধারণ দর্শকই নয়, দলের টিম ডিরেক্টর মোহাম্মদ হাফিজও কড়া ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। রউফ কথা রাখেনি এমন দাবিও করেছিলেন তিনি। তাঁর মতে, রউফ টেস্ট খেলার জন্য ইচ্ছুক ছিল কিন্তু স্কোয়াডে জায়গা পাওয়ার পর মত পরিবর্তন করেছে।
স্থানীয় একটি গণমাধ্যমের দাবি যে, সমালোচনার কারণে ব্যাপক হতাশ হয়েছিলেন এই ডানহাতি। এক পর্যায়ে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে অবসরের কথাও ভেবেছিলেন। তবে সবার সাথে পরামর্শ করার পরে তিনি পুনরায় নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে মনোযোগী হন।
শোনা গিয়েছে, সাবেক ডিরেক্টর মিকি আর্থারও এক্সপ্রেস পেসের কারণে হারিস রউফকে টেস্টে দেখতে আগ্রহী ছিলেন। ২০২৩ বিশ্বকাপের সময় থেকেই রউফকে অস্ট্রেলিয়া সফরে যেতে রাজি করার চেষ্টা করেছিলেন আর্থার। কিন্তু এই তরুণ প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তার সীমিত অভিজ্ঞতা এবং সম্ভাব্য ইনজুরির উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে ধারাবাহিকভাবে তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
সব জল্পনা দূরে সরিয়ে মিস্টার ১৫০ অবশ্য পারফরম করছেন সাদা বলে। দল হারলেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচে পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন তিনি; ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে যেতে পারলে নিশ্চয়ই নিন্দুকেরা সমালোচনা ভুলে প্রশংসা করবে তাঁর।