২০২২ সালটা ভালো কাটেনি দানি আলভেজের। বার্সেলোনার ফেরত যাত্রা শেষের পর মেক্সিকোর ক্লাব পুমাস ইউএনএএমে যোগ দেন ৩৯ বছর বয়সী এই রাইটব্যাক। নতুন ক্লাবেও সময়টা ভালো যায়নি তার। নিজের এবং দলের পারফরম্যান্স দুটোই ছিলো হতাশাজনক। তবুও সবাইকে অবাক করে তিতের ২৬ জনের দলে জায়গা করে নিয়েছেন আলভেজ। ক্যামেরুনের বিপক্ষে সবচেয়ে বয়স্ক ফুটবলার হিসেবে খেলে ফেললেন বিশ্বকাপ ম্যাচও।
নতুন দল পুমাস ইউএনএএমে যাত্রাটা মোটেও সুখের হয়নি আলভেজের। তার দল ১৬ নাম্বারে থেকে শেষ করেছে লীগ। দানিও নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে ছাপ রাখতে পারেননি কোনো। এসব বাস্তবতার পর বিশ্বকাপ দলে তার জায়গা পাওয়াটা অনেক বড় চমকেরই জন্ম দেয়। ৭ নভেম্বর তিতের বিশ্বকাপ দল ঘোষণায় সবচেয়ে বড় চমক সম্ভবত এটিই।
ব্রাজিল ভক্ত এবং গণমাধ্যমের কাছে এটি চমক হলেও ব্রাজিল টিম ম্যানেজমেন্ট এর কাছে এটি পরিকল্পনার অংশ। ব্রাজিল টিম ম্যানেজমেন্ট এর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘দানি তাঁর পজিশনে সর্বকালের অন্যতম সেরা। খেলোয়াড়ি জীবনে সবচেয়ে বেশি ট্রফি জিতেছে ও।’
আলভেজকে বিশ্বকাপ দলে ডাকা যে পরিকল্পনারই অংশ তা অবশ্য ব্রাজিল টিম ম্যানেজমেন্ট এর কর্মকান্ডেই বোঝা যাচ্ছিলো।
টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে মেক্সিকো তে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য প্রতিনিধি পাঠান তিতে। এরপর আরেকটি প্রতিনিধি দল অক্টোবরের শেষে যায় বার্সেলোনাতে যেখানে দানি আলভেজ নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন বার্সা একাডেমির সব সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করে।
কোচ তিতে আলভেজের অভিজ্ঞতা এবং দলে তার নেতৃত্বগুণকে বড় করে দেখেছেন। বার্সেলোনায় যে কোচের অধীনে দানি নিজেকে প্রস্তুত করেছেন বিশ্বকাপের জন্য সেই রাফা মার্কুয়েজের সার্টিফিকেটও পেয়েছেন তিনি। রাফা জানান, শারীরিক এবং মানসিক ভাবে খুব ভালো অবস্থানে আছেন আলভেজ।
এত জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওহা আলভেজ শুক্রবার করে ফেললেন আরো একটি রেকর্ড। ক্যারিয়ারে সবচেয়ে ট্রফি জেতা এই ব্রাজিলিয়ান কাল মাঠে নেমে সবচেয়ে বেশি বয়স্ক ব্রাজিলিয়ান হিসেবে বিশ্বকাপ খেলার রেকর্ডও নিজের করে নিলেন।