রিয়াল মাদ্রিদের নতুন মিডফিল্ড ম্যাজিশিয়ান

শেষ চার ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে অল হোয়াইটরা, চার ম্যাচের পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখবেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের অর্জন বলতে স্রেফ একটা অ্যাসিস্ট। কিন্তু আরেকটু গভীরে গেলেই দেখবেন প্রতিটা ম্যাচেই সর্বোচ্চ পাস, সর্বোচ্চ পাসিং অ্যাকুরেসি, চান্স ক্রিয়েট সবদিক থেকেই তালিকার উপরের দিকে আছেন তিনি। ম্যাচগুলোতে যে গোল উৎসব করেছে দলটা তার পিছনে কলকাঠি কে নেড়েছেন সেটা তাই আর বলার অপেক্ষা রাখে না। 

জুড বেলিংহ্যাম আছেন, ফেদেরিকো ভালভার্দে আছেন; এদুয়ার্দো কামাভিঙা কিংবা অরেলিয়েন শুয়েমেনিও কোন অংশে কম নয়। আর সবার উপরে আছেন একজন – লুকা মদ্রিচ। এত এত তারকার ছড়াছড়ি, তবু টনি ক্রুসের অবসরের পর রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডে তৈরি হয়েছিল শূণ্যতা। অনেক কিছু ভেবেও সেটা মোছা যায়নি, কিন্তু এবার বোধহয় সমাধান হাতে পেয়েছেন কার্লো আনচেলত্তি।

বিশেষ কিছু না, দানি সেবায়োসকে দায়িত্ব দিলেই দুশ্চিন্তা অনেকটুকু কমে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদের। সাম্প্রতিক সময়টাতে অন্তত সেটা বুঝতে পেরেছেন সবাই, সেবায়োসের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স চোখে পড়তে শুরু করেছে। সবশেষ ম্যাচেও যখন কিলিয়ান এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক খবরের শিরোনাম হয়েছিল তখন আড়ালে নিজের কাজটা ঠিকঠাক করে রেখেছিলেন তিনি। বল পায়ে তাঁর কামনেস, ক্রিয়েটিভিটি ফরোয়ার্ডদের জ্বালানি সরবরাহ করেছে।

কামাভিঙা, ভালভার্দে, বেলিংহ্যামরা একসাথে খেললে এনার্জি, ওয়ার্করেট কিংবা স্ট্যামিনার কোন অভাব হয় না। কেবল অভাব থাকে কন্ট্রোলে, ক্রুস যেটা করতেন। খেলার সুতো নিজের হাতে রাখতে পারতেন; কখন ফাস্ট বিল্ডআপ হবে, কখন স্লো বিল্ড আপ সবই তাঁর ইশারায় হতো। মৌসুমের শুরু থেকে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা ঠিক এটাই মিস করছিলো।

এর ফলে মিডের খেলায় পেরে উঠতে পারছিলো না দলটা; এনার্জেটিক তরুণেরা ডুয়েল জিততেন ঠিকই কিন্তু বল দখলে রাখতে পারতেন না; তাঁরা তো আসলে কেউই সেই অর্থে বল হোল্ডার নন। এই কাজটাই এখন অনায়াসে করে দিচ্ছেন সেবায়োস।

প্রতিপক্ষের প্রেসিং কিভাবে ঠেকাতে হয় সেটা ভালোই জানা আছে তাঁর, অল্প স্পেসে ড্রিবলিং করে ওয়ান টু ওয়ানে কাউকে বিট করা কিছুই না তাঁর জন্য। আর সেটা না পারলে শরীর ব্যবহার করে ফাউল আদায় করে নিতে পারেন তিনি। তবে তাঁর সবচেয়ে বড় গুণ প্লে-মেকিং। একেবারে নিচ থেকে খেলা তৈরি করে দিতে পারেন – ডিফেন্স চেরা পাস যাকে বলে।

শেষ চার ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে অল হোয়াইটরা, চার ম্যাচের পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখবেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের অর্জন বলতে স্রেফ একটা অ্যাসিস্ট। কিন্তু আরেকটু গভীরে গেলেই দেখবেন প্রতিটা ম্যাচেই সর্বোচ্চ পাস, সর্বোচ্চ পাসিং অ্যাকুরেসি, চান্স ক্রিয়েট সবদিক থেকেই তালিকার উপরের দিকে আছেন তিনি। ম্যাচগুলোতে যে গোল উৎসব করেছে দলটা তার পিছনে কলকাঠি কে নেড়েছেন সেটা তাই আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

আক্ষেপ হতে পারে একটু, বার্সেলোনার বিপক্ষে শুরুর একাদশে যদি রাখা হতো এই তারকাকে, তাহলে ফলাফল হয়তো ভিন্ন কিছু হতে পারতো। তবে এটা নিয়ে পড়ে থাকার সুযোগ নেই; সামনের বড় ম্যাচগুলোতে তাঁকে একাদশে না রাখার ভুল যেন ম্যানেজম্যান্ট না করে সেটাই প্রার্থনা।

Share via
Copy link