লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) প্রথম অভিজ্ঞতাতেই মুগ্ধ করেছেন তাওহীদ হৃদয়। সাকিব আল হাসানের সাথেও তাঁর লড়াই বেশ জমে উঠেছিল। বিশেষ করে সাকিবের বিপক্ষে একটা ছক্কা নজর কেড়েছে। সেই ছক্কায় মুগ্ধ হন স্বয়ং ডেভিড মিলারও।
দেশে ফিরে হৃদয় কথা বললেন সেই ছক্কা নিয়ে। তিনি বলেন, ‘সাকিব ভাই অনেক অভিজ্ঞ বোলার। সেদিন উইকেট বল একটু স্পিন ধরছিল, টার্ন করছিল। সাকিব ভাইয়ের সাথে আমি আগেও টি-টোয়েন্টি খেলেছি, দেখেছি। তিনি টি-টোয়েন্টিতে বেশ জোরে বল করেন। কিন্তু সেদিন আস্তে বল করছিল। তখন বুঝেছি তিনি কত অভিজ্ঞ বোলার। উনার আস্তে করা বলগুলোও মারা যাচ্ছিল না। আমি যে বলটা মেরেছি, সেটিও অনেক দূরে করেছিল। আসলে ঐ বলটা যদি না মারতাম তাহলে আউট হতে পারতাম। ডু অর ডাই ছিল আমার জন্য।’
ম্যাচ শেষে কথা হয় সাকিবের সাথেও। হৃদয় বলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে ম্যাচ ভালো ছিল। সাকিব ভাই খেলা শেষে বলেছে, ভালো ব্যাটিং হয়েছে। আমি আসলে পাওয়ার প্লেতে নেমেছিলাম। ঐ সময় পরিস্থিতির দাবি ছিল দ্রুত রান তুলতে হবে। আমি সেটিই চেষ্টা করেছি। বোলার সাকিব ভাই বা আরও বড় কেউ আছেন, এমন কিছু আমার মাথায় কাজ করেনি। আমি আমার শক্তির জায়গায় থাকার চেষ্টা করেছি।’
হৃদয়ের ছক্কা দেখে অবাক হয়েছিলেন দলে তাঁর সতীর্থ ডেভিড মিলারও। তিনি বলেন, ‘মিলার আমাকে বারবার অ্যাপ্রিসিয়েট করছিল। বিশেষ করে আমি সাকিব ভাইকে যে ছক্কাটা মেরেছিলাম, শুধু মিলার নয়, পুরো টিম বলছিল, এটা আসলে কী শট (হাসি)! মিলার বলছিল, এটা শট অব দ্য ডে। ম্যাচ শেষেও মিলার অনেক কথা বলেছে আমার ব্যাটিং নিয়ে। সে আমার কাছ থেকে শুনেছে আমি কীভাবে কী করি।’
হৃদয় আরও বলেন, ‘ভালো লেগেছে তার (ডেভিড মিলার) সঙ্গে কথা বলে। সে লিজেন্ড। আমিও চাচ্ছিলাম মিলারের সঙ্গে একটু কথা বলি। কিন্তু সাহসটা পাচ্ছিলাম না। পরে দেখেছি ও-ই আমার সঙ্গে কথা বলেছে। তারপর সব সময় চেষ্টা করেছি ওর সঙ্গে কথা বলার। ওর কাছ থেকে যতটা নেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করেছি।’
প্রথমবার সুযোগ পেয়ে এলপিএলে জাফনা কিংসের হয়ে ৬ ম্যাচ খেলেছেন হৃদয়। সেখানে প্রায় ৩৯ গড়ে ১৫৫ রান করেছেন তিনি। হৃদয় জানালেন মাঠের বাইরেও সমর্থনের কমতি ছিল না। বললেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ ভালোই (সমর্থন) পেয়েছি। বাউন্ডারিতে যখন ফিল্ডিংয়ে যাই, সবাই আমাকে চিনেছে। সব সময় হৃদয়, হৃদয় বলে ডাকে।’
হৃদয় মনে করেন এলপিএলের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে আসন্ন এশিয়া কাপে। তিনি বলেন, ‘(এলপিএলের অভিজ্ঞতা এশিয়া কাপে) হয়তো আসতে পারে (কাজে লাগতে পারে)। নির্দিষ্ট দিনে কেমন করব সেটা হলো চ্যালেঞ্জ। তারপরও ওইখানে গিয়েছি, খেলেছি, সেখানকার উইকেট সম্পর্কে, গ্রাউন্ড সম্পর্কে ধারণা হয়েছে। একটু তো সাহায্য হবে আমার জন্য এবং আমার দলের জন্য।’