কিলার মিলার, একাই একশ

শুরুটা অবশ্য রয়েসয়েই করেছিলেন মিলার, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আগ্রাসী হয়ে উঠেন। আবরার আহমেদকে তিন বলে তিন ছক্কা মেরেই আগ্রাসনকে পূর্ণতা দেন তিনি। তাতেই পূর্ণ হয় তাঁর ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি, সেটাও আবার মাত্র ২৮ বলে!

ছক্কা, ছক্কা এবং ছক্কা – কিলার মিলার একবার সেট হয়ে গেলে কি হতে পারে সেটাই আরেকবার মনে করিয়ে দিলাম। ঠিক যেমনটা তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে, হাঁকিয়েছেন আটটা আটটা ছয়!

ডেভিড মিলার যখন বাইশ গজে আসেন পাকিস্তান তখন রীতিমতো অগ্নিমূর্তি রূপ নিয়ে ছিল। স্রেফ ১০ রানের মাথায় দুই উইকেট হারিয়ে বসে প্রোটিয়ারা, সেখান থেকে দলের হাল ধরেন তিনি। অসম একটা লড়াই একা লড়ে যান; অন্যপ্রান্তে সতীর্থরা যখন টিকে থাকার চেষ্টায় ব্যস্ত, তিনি তখন শাসন করেছেন পাক বোলারদের।

চৌদ্দতম ওভারে এই ব্যাটার যখন ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন তখন দলের রান ছিল ১৩৫ আর তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৪০ বলে ৮২ রান! অর্থাৎ তিনি মাঠে নামার পর থেকে দলীয় রানের ৬৬ শতাংশই এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। আর ইনিংসটি খেলার পথে আটটা ওভার বাউন্ডারির পাশাপাশি চারটা বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি।

শুরুটা অবশ্য রয়েসয়েই করেছিলেন মিলার, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আগ্রাসী হয়ে উঠেন। আবরার আহমেদকে তিন বলে তিন ছক্কা মেরেই আগ্রাসনকে পূর্ণতা দেন তিনি। তাতেই পূর্ণ হয় তাঁর ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি, সেটাও আবার মাত্র ২৮ বলে!

শেষমেষ আউট হওয়ার আগে দলকে নিরাপদ অবস্থানে পৌঁছে দেন এই বাঁ-হাতি। পাকিস্তানের বোলারদের বিপক্ষে ওয়ান ম্যান আর্মির মতন পারফরম করেছেন তিনি। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও তাঁর আক্রমণাত্মক মানসিকতা এতটুকু কমেনি, ব্যাটের ধার হ্রাস পায়নি।

এই তারকার ইনিংসে ভর করেই নির্ধারিত বিশ ওভারে ১৮৩ রানের পুঁজি পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তিনি যে একাই একটা ম্যাচের গতিপথ বদলে দিতে পারেন সেটাই যেন প্রমাণ হলো।

Share via
Copy link