লিটন দাস কবে শেষ রান করেছিলেন, সেটা সম্ভবত তিনি নিজেও চট করে মনে করতে পারবেন না। তাঁর কাজটা সহজ করে বলে দেই, তিনি শেষ বড় রান পেয়েছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে।
এরপর ভারতের বিপক্ষে সিরিজের পুরোটা সময় ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজেও তাই। আসলেই কি ছায়া? নাকি এটাই সত্যিকারের লিটন, যিনি হঠাৎ হঠাৎ জ্বলে উঠবেন আর রব উঠবে – লিটন ইজ ব্যাক!
এই একটা বাক্য লিখতে আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে? ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও এই অপেক্ষার অবসান আপাতত হচ্ছে না। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে একটা টেস্ট ইনিংসে ভাল একটা সূচনা পেয়েছিলেন, তবে ধরে রাখতে পারেনননি একদমই।
এর আগে ভারতের বিপক্ষেও টি-টোয়েন্টিতে একটা অর্থহীন ৪২ রানের ইনিংস ছিল। তবে, এবাত উইন্ডিজ সিরিজে তাঁর ব্যর্থতা আগের যেকোনো সময়কে হার মানাচ্ছে।
চার ও দুইয়ের পর এবার রানের খাতাই খোলার সু্যোগ পেলেন না। প্রথম পাওয়ার প্লের মধ্যেই ফিরে গেলেন আবার। যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন ব্যাটিংয়ে অবস্থা বেগতিক হতে চলেছে লিটনের।
উইকেটের সামনে তিনি সাবলীল। বেশ দক্ষ, স্ট্যাম্প মাইকের কথাবার্তা শুনলে মনে হয় তিনি এখন নেতৃত্ব ইউনিটেরও অংশ। কিন্তু যত গোল বাঁধে উইকেটের সামনে আসলেই। এখানে তিনি একেবারেই অন্য মানব, একদমই নিষ্প্রভ ও ন্যাক্কারজনক।
এরই মধ্যে তাঁকে, টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কের দায়িত্বও দেয়া হয়েছে। সেই দল নিয়ে তাঁকে ওই অপয়া ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জেই খেলতে হবে। এ তো ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি! এই লিটন-অত্যাচারের শেষ কোথায়? শুরুতে তো লিটনের কাজটা সহজ করে দেয়া গিয়েছিল, দর্শকদের চোখের আরাম দিবেন কে, দেখার কি কেউ নেই!