হারারেতে ব্রেভিস ঝড়!

১৭ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয় এনে দিলেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। তবে ভাঙা হলো না প্রিয় তারকা এবি ডি ভিলিয়ার্সের পঞ্চম দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটি।

১৭ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয় এনে দিলেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। তবে ভাঙা হলো না প্রিয় তারকা এবি ডি ভিলিয়ার্সের পঞ্চম দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটি।

এর আগে, জিম্বাবুয়ের ইনিংসটা ভর করেছিল অধিনায়ক সিকান্দার রাজার লড়াকু ফিফটির উপর। ২০ ওভারে ১৪১ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস।

তবে রান তাড়ায় নেমেই ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম বলেই অভিষিক্ত লুয়ান-ড্রে প্রিটোরিয়াস ফিরে যান শূন্য রানেই। এরপর রিজা হেনড্রিকস আর রাসি ফন ডার ডুসেনও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। স্কোরবোর্ডে তখন ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান।

সেখান থেকেই ম্যাচে ফেরার গল্পটা শুরু করেন ব্রেভিস ও রুবিন। চতুর্থ উইকেটে এই জুটি গড়ে ৭২ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ। ততক্ষণে ম্যাচের মোড় ঘুরে গেছে।

শেষমেষ ব্রেভিস থামেন ১৭ বলে ৪১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে। বিদায় নেওয়ার আগে এক চার আর পাঁচ ছক্কায় সাজানো ইনিংসের স্ট্রাইক রেট ছিল ২৪১। আর এতেই ভাঙা হলো না প্রোটিয়া কিংবদন্তি এবিডির রেকর্ড।

মাত্র তিন বল পরেই যদি ফিফটি পেয়ে যেতেন, তাহলে ডি ভিলিয়ার্সকে টপকে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে পঞ্চম দ্রুততম ফিফটির মালিক হয়ে যেতে পারতেন ব্রেভিস। ডি ভিলিয়ার্সের রেকর্ড ছিল ২১ বলে ফিফটি করার।

কুইন্টন ডি কক ১৫ ও ১৭ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে এই তালিকায় প্রথম এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে আছেন। এছাড়াও মার্কো ইয়ানসেন ১৬ বলে, ট্রিস্টান স্টাবস ১৯ বলে ফিফটি করে ছিলেন যথাক্রমে দ্বিতীয় এবং চতুর্থ অবস্থানে।

শেষ পর্যন্ত অবশ্য ম্যাচ জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। পাঁচ উইকেট ও ২৫ বল হাতে রেখেই পাড়ি দেয় জয়ের গন্তব্যে। ব্রেভিস আউট হয়ে গেলেও বাকি কাজটা শেষ করে ফেরেন করবিন বশ ও জর্জ লিন্ডে। সেই সাথে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম জয় নিয়ে সবার উপরে এখন আফ্রিকা।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link