তামিম ইকবালের দানবীয় সেঞ্চুুরিতে সিলেট সানরাইজার্সকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ৫ ম্যাচে ২ জয় নিয়ে টুর্নামেন্টে টিকে রইলো মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা।
১৭৬ রানের বড় লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে তামিমের ব্যাটে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে ঢাকা। প্রথম ৫ ওভারেই দলের রান বিনা উইকেটে ৬১! এরপর ২৮ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৪৩তম ফিফটি তুলে নেন তামিম। তামিম ঝড়ে ৯ ওভারেই দলের রান একশো’র কোটায়! তামিম-শাহজাদের দাপটে ১৫ ওভারের আগেই দলের রান বিনা উইকেটে দেড়শো পার। একপ্রান্ত আগলে রেখে ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন শাহজাদ। জয় থেকে তখন মাত্র সামান্য দূরে ঢাকা।
বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৬১ বলে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম ইকবাল। বিপিএল ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান তামিম। এরপর জয় থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থাকতে শাহজাদ আউট হলেও তামিমের অপরাজিত ৬৪ বলে অপরাজিত ১১১ রানে ৯ উইকেটের বড় জয় পায় ঢাকা।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্ভোধনী জুটিতে দারুন শুরু পায় সিলেট। ওপেনিং জুটিতেই আসে ৫০ রান। এরপর দলীয় ৫০ রানে ব্যক্তিগত ১৬ বলে ১৮ রানে আউট হন এনামুল হক। এরপর মোহাম্মদ মিথুন ও কলিন ইনগ্রাম দ্রুত ফিরলে ৬৫ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সিলেট।
তবে একপ্রান্তে মারকাটারি ব্যাটিং করতে থাকেন লেন্ডন সিমন্স। সাথে যোগ্য সমর্থন দেন রবি বোপারা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দু’জনে যোগ করেন ৬৩ রান! এর মাঝে বোপারা করেন মোটে ১৩ রান। সিমন্স তখন সেঞ্চুরির দিকে!
দলীয় ১২৮ রানে বোপারা ফিরলে মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে জুটি গড়েন সিমন্স। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৩৮ রানের জুটির পথে এবারের আসরের বিপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন সিমন্স। সিমন্স ঝড়ে বড় সংগ্রহ পায় সিলেট। শেষদিকে ৬৫ বলে ৫ ছক্কা ও ১৪ চারে ব্যক্তিগত ১১৬ রানে সিমন্স ফিরলে মোসাদ্দেকের ৮ বলে ১৩ রানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে সিলেট সানরাইজার্স। সিলেটের পক্ষে মাশরাফি, আন্দ্রে রাসেল, এবাদত হোসেন, কায়েস আহমেদ নেন একটি করে উইকেট।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিলেট সানরাইজার্স – ১৭৫/৫ (২০ ওভার); সিমন্স ১১৬(৬৫), এনামুল ১৮(১৬), মোসাদ্দেক ১৩(৮)*; কায়েস ৪-০-২৬-১, মাশরাফি ৪-০-২৯-১, এবাদত ৪-০-২৯-১।
মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা – ১৭৭/১ (১৭ ওভার); তামিম ১১১(৬৪)*, শাহজাদ ৫৩(৩৯); আলাউদ্দিন বাবু ২-০-৩২-১।
ফলাফল: মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা ৯ উইকেটে জয়ী।