নাসির হোসেনের ব্যাটে সৃষ্টি হওয়া চাপকে ছক্কার মতো উড়িয়ে মারলেন সাব্বির রহমান, তাতেই রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের জয়ের শেষ সম্ভাবনার চিহ্নটা মুছে যায়। সহজ ম্যাচটা কঠিন করে তবেই ঢাকা ক্যাপিটালস জয় পায় পাঁচ উইকেটের ব্যবধানে।
এদিন ঢাকার আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে আসে রাজশাহী। প্রথম ম্যাচ জিতে নিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিল গোটা দল। ঢাকার জন্য যা বাড়তি চ্যালেঞ্জ। তবে ইনিংসের প্রথম বলেই ইমাদ ওয়াসিম ফেরান স্বদেশি শাহিবজাদা ফারহানকে। ওটাই একপ্রকার ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় রাজশাহীকে।

তানজিদ হাসান তামিম পারেননি ইনিংস বড় করতে, ইয়াসির রাব্বিও ব্যর্থ হলেন চারে নেমে। দায়িত্ব পড়ল আবারও সেই নাজমুল হোসেন শান্তর কাঁধে। আগের ম্যাচেও সেঞ্চুরি পেলেও এই ম্যাচে থামলেন ৩৭ রান করে। দলের শেষ ভরসা হয়ে থাকা মুশফিকুর রহিমও ফেরেন ২৪ রান করে। শেষ পর্যন্ত রাজশাহীর স্কোরবোর্ডে জমা পড়ে মাত্র ১৩২ রান। অল্প রানের ব্যবধানে বেঁধে রাখার পেছনে অবদানটা অবশ্য ইমাদের, চার ওভারে ১৬ রান দিয়ে তাঁর শিকার তিন উইকেট।
ঢাকার জন্য সহজ লক্ষ্য। ব্যাটিং লাইন-আপটা মন্দ নয়। তবে পাঁচ রানের মাথায় ফিরতে হয় সাইফ হাসানকে। রাজশাহীর সম্ভাবনা উঁকি দিয়ে ওঠে। উইকেটটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্লো হতে লাগল, ব্যাট-বলের মাঝে সূক্ষ্ম এক দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকল। তবে অবিচল থাকলেন আবদুল্লাহ আল মামুন। ৩৯ বলে ৪৫ রানের ইনিংস এলো তাঁর ব্যাটে।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সহজ ম্যাচটাকে কঠিন করতে থাকে ঢাকা। নাসিরের ধীরগতির ইনিংসটা ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে যেতে থাকে ঢাকার কাছ থেকে। তবে সাব্বির রহমান ক্রিজে এসে সব সংশয় দূর করে দিলেন। ছক্কা-চার হাঁকিয়ে দলকে এনে দিলেন জয়ের আনন্দ। খেলেন ২১ রানের ম্যাচ-উইনিং নক। তাতেই শেষ পর্যন্ত পাঁচ উইকেট হাতে রেখেই জিতল ঢাকা। রাজশাহীর আত্মবিশ্বাসটা খোয়া গেল কিছুটা।











