১৭৬.৫ কি.মি. গতিতে সত্যিই বল করেছেন স্টার্ক?

ঘণ্টায় ১৭৬.৫ কিলোমিটার গতির সেই বল হয়তো বাস্তবে অসম্ভব। কিন্তু, স্টার্কের আগুনে স্পেল? সেটি ছিল একদম বাস্তব—আর সেটিই ভারতীয় ব্যাটারদের নি:শ্বাস বন্ধ করে দিয়েছিল।

পার্থের সকালটা যেন আগুনে ঝলসে উঠেছিল মিশেল স্টার্কের হাতে। গতি, আগ্রাসন আর নিখুঁত সুইং—তিনের মিশেলে ভারতীয় টপ অর্ডারের সামনে ছুড়ে দিলেন এক ভয়ংকর জাদুমন্ত্র। কিন্তু আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তাঁর উইকেট নয়, বরং এক বল—যার গতি দেখে স্পিড গানও যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারেনি!

ইনিংসের প্রথম বলেই রোহিত শর্মার উদ্দেশে ছোড়া স্টার্কের সেই ডেলিভারি স্পিড গানে দেখায় ঘণ্টায় ১৭৬.৫ কিলোমিটার! যা হলে সেটিই হতো ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুততম বল। মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হইচই পড়ে যায়, অনেকে চোখ কচলাতে থাকেন বিস্ময়ে।

তবে অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যমের দাবি, সেটি আসলে মেশিনের ত্রুটি। বাস্তবে বলটির গতি ছিল প্রায় ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। আর তাঁর সবচেয়ে দ্রুত বৈধ বলটি—রোহিতের বিপক্ষেই—রেকর্ড হয়েছে ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে।

তবে স্পিডগানের ভুলেও স্টার্কের ভয়ংকর ছন্দের কোনো ঘাটতি ছিল না। ছয় ওভারেই ১ মেইডেনসহ মাত্র ২২ রান দিয়ে তুলে নেন ১ উইকেট। সেই উইকেট আবার খোদ বিরাট কোহলিন! ৮ বল খেলে রানশূন্য অবস্থায় বিদায় নেন ভারতের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার।

পাওয়ার প্লেতে মাত্র ২৭ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। ২০২৩ সালের পর ওয়ানডেতে এমন বাজে শুরু আর হয়নি ভারতের। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে বারবার খাবি খেয়েছে ভারত। ঘণ্টায় ১৭৬.৫ কিলোমিটার গতির সেই বল হয়তো বাস্তবে অসম্ভব। কিন্তু, স্টার্কের আগুনে স্পেল? সেটি ছিল একদম বাস্তব—আর সেটিই ভারতীয় ব্যাটারদের নি:শ্বাস বন্ধ করে দিয়েছিল।

Share via
Copy link