বিরাটের ভরসায় দয়ালের প্রত্যাবর্তন

একটু সমর্থন, কাধে রাখা ভরসার হাত একজন মানুষের সেরাটা বের করে আনতে পারে। ঠিক এমনই এক ঘটনা ঘটলো ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে। বিরাট কোহলির ভরসায় ফিরে এলেন ইয়াশ দয়াল।

একটু সমর্থন, কাঁধে রাখা ভরসার হাত- একজন মানুষের সেরাটা বের করে আনতে পারে। ঠিক এমনই এক ঘটনা ঘটলো ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল)। বিরাট কোহলির ভরসায় ফিরে এলেন ইয়াশ দয়াল।

ক্রিকেট মাঠে ক্যারিয়ার বদলে যেতে পারে মাত্র এক ওভারে। ২০২৩ সালের আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের হয়ে খেলতে গিয়ে, রিঙ্কু সিংয়ের কাছ থেকে পরপর পাঁচটি ছক্কা হজম করেছিলেন ইয়াশ দয়াল। এরপর এক দুর্বিষহ মুহূর্তের মুখোমুখি হন। এই ঘটনার পর অনেকে ভেবেছিলেন, হয়তো এখানেই থেমে যাবে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার।

তবে ২০২৪ মৌসুমের আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু তাঁকে দলে নেয়। তারপর থেকেই বদল আসতে থাকে তাঁর ভাগ্যে। যার কারিগর স্বয়ং বিরাট কোহলি। তার সঙ্গে নিয়মিত কথোপকথন, মানসিক সমর্থন এবং পরিশ্রমে ফের প্রত্যাবর্তনের সুযোগটা পান ইয়াশ।

তাঁর বাবা চন্দরপাল দয়াল জানান, ‘আরসিবিতে যোগ দেওয়ার পর বিরাট মাঝে মাঝে ওকে নিজের রুমে ডাকতেন। কখনো আবার নিজেই ইয়াশের ঘরে যেতেন। তিনি বলতেন, ঝড় তুলে দে, আমি আছি। চিন্তা করিস না। ভুল কর, শিখ আর এগিয়ে যা।’

বিরাটের এই কথাটাই যেন বদলে দেয় দয়ালের ক্যারিয়ার। এই ভরসার জোরেই ২০২৪ আইপিএলে ইয়াশ নিজেকে প্রমাণ করেন। চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে এক ডু-অর-ডাই ম্যাচে শেষ ওভারে ধোনি-জাদেজার বিপক্ষে ১৭ রান ডিফেন্ড করে ব্যাঙ্গালুরুকে প্লে-অফে তুলেছিলেন।

২০২৫ আইপিএলেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন দয়াল। চলতি মৌসুমে আবারও সেই চেন্নাইয়ের বিপক্ষে শেষ ওভারে ১৫ রান ডিফেন্ড করেন। শেষ ওভারের মাঝপথেই ধোনিকে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ব্যাঙ্গালুরু ম্যাচটি জিতে নেয় এবং প্লে-অফ প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে দলটি।

ইয়াশ দয়ালের এই প্রত্যাবর্তন যেন একটা শিক্ষা হয়ে থাকলো— ‘শেষ হওয়ার আগে যে শেষ করতে নেই’, এই কথাটা যেন দয়াল প্রমাণ করে দিলেন। তবে এর পেছনের কারিগর তো একজন বিরাট কোহলি। যার ভরসার হাত দয়ালের কাঁধে ছিলো বলেই তো দয়াল পেরেছেন ফিরে আসতে।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link