পাকিস্তানের ক্রিকেটে কখনোই আপনি স্থির একটা অবস্থা পাবেন না। সব সময়েই কিছু একটা ঘটছে- তা মাঠের ক্রিকেটেই হোক বা মাঠের বাইরে।
এই যেমন মাস খানেক আগের কথা। মাঠের ক্রিকেটে ভালোই করছিল পাকিস্তান সে সময়ে। বাবর আজমের নেতৃত্বে ভালোই এগোচ্ছিল তাদের ক্রিকেট। কিন্তু এর মাঝেই এলো গুরতর এক অভিযোগ।
পুরনো ভরসারা ক্রিকেট ছাড়ার পর নতুনরা নিচ্ছিল গুছিয়ে। বেশ কিছু নতুন তারকা এসেছে পাকিস্তান ক্রিকেটে এর মধ্যে। তাঁরা ভাল পারফর্ম করে ম্যাচও জেতাচ্ছেন নিয়মিত। এর মাঝেই গুঞ্জন উঠল যে ড্রেসিং রুমের তথ্য নাকি কেউ একজন বাইরে পাচার করে দিচ্ছেন!
খেলোয়াড়েরা যতই জনপ্রিয় হচ্ছেন ততই তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনাগোনা বাড়ছে। বাড়ছে তাদের ভক্ত সমর্থকদের সংখ্যাও। এইসব ব্যাপার খুব স্বাভাবিকভাবেই কোনো না কোনো সময়ে খেলোয়াড়দের প্রভাব ফেলতে শুরু করার কথা। ফলে খেলোয়াড়রা কিছু কিছু ক্ষেত্রে পিসিবির থেকেও বড় চিন্তা করে থাকতে পারেন নিজেকে। সেরকমটাই নাকি হয়েছিল এক্ষেত্রে।
বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপে ভারত, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হেরে ফাইনালে না উঠতে পারা থেকে শুরু করে বাবর আজমের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন- যেই একটু সমস্যার আভাস দেখা দিয়েছে, ঠিক তখনই অভিযোগটা উঠল।
জোর খবর ইমাম উল হকের বিরুদ্ধে যে তাঁর মাধ্যমে ড্রেসিং রুমের তথ্য বাইরে চলে যাচ্ছে। এশিয়া কাপের শেষ ম্যাচের পর কথা উঠেছিল বাবর আজম আর শাহীন আফ্রিদির মধ্যে তর্কের কথা। তবে বোর্ড চমকে গিয়েছিল এই ভেবে যে কিভাবে এইরকম স্পর্শকাতর তথ্য বাইরে এলো।
পরে তাঁরা বুঝতে পারে তথ্য বের হয়েছে ইমাম উল হকের মাধ্যমে। বোর্ড ব্যবস্থা নিতেই পারত। কারণ দলের ভেতর সমস্যা আছে সেটা বোঝা গেছে এই ঘটনার মাধ্যমে। তবে বিশ্বকাপ সামনে রেখে বোর্ড ততটাও কঠিন হয়নি। আবার বিশ্বকাপ চলাকালেও বোর্ড সভাপতির সাথে বাবর আজমের মধ্যকার আলাপ ফাঁস হয়। কিন্তু, প্রশ্ন হল এই তথ্য ফাঁস করছে কে!