দুবের ব্যাটে এল ভাগ্যনির্ধারণী ইনিংস!

সৌভাগ্যের প্রতীক হয়ে নয়, শিভাম দুবে ভাগ্যটাকেই টেনে নিলেন নিজের কাছে। ২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তাঁর খেলা ৩৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের একটিতেও হারেনি ভারত। এশিয়া কাপের ফাইনালেও বজায় থাকলো সেই ধারা।

সৌভাগ্যের প্রতীক হয়ে নয়, শিভাম দুবে ভাগ্যটাকেই টেনে নিলেন নিজের কাছে। ২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তাঁর খেলা ৩৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের একটিতেও হারেনি ভারত। এশিয়া কাপের ফাইনালেও বজায় থাকলো সেই ধারা।

৭৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে ভারতের আকাশ তখন শঙ্কার মেঘে আচ্ছন্ন। পাকিস্তানের দেওয়া চাপটা দুঃসহনীয় যন্ত্রণা হয়ে বুকে বিধছে ভারতের ডেরায়। তিলক ভর্মা বাইশ গজে দাঁড়িয়ে আছেন একটা বিশ্বস্ত সঙ্গীর অপেক্ষায়।

দুবে এলেন সঙ্গ দিতে, ভারতের ধূসরতা দূর করে রঙিন আলো হয়ে। কোন চাপ নেই, যেন যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর হয়ে হিসাব কষে খেললেন। স্ট্রাইক রোটেট করলেন, কখনো বাউন্ডারি আবার কখনো সীমানা দড়ির বাইরে আছড়ে ফেললেন একেকটা বল।

পাকিস্তানের বোলারদের কোন সুযোগ দিলেন না আর। তবে একটা সময় পর থামতে হলো তাঁকে। ফাহিম আশরাফকে লং অফের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শাহীন আফ্রিদির হাতে ধরা পড়লেন। ততক্ষণে নিজের ব্যক্তিগত খাতায় লিখে ফেলছেন ২২ বলে ৩৩ রানের ম্যাচ জেতানো এক নক।

হাঁকিয়েছেন দুটি চার আর দুটি ছয়। স্ট্রাইক রেটটা কাঁটায় কাঁটায় ১৫০। সাজঘরের পথে যখন ফিরছেন গুটি গুটি পায়ে দলের তখন রান দরকার ১০। আর কোন অঘটন ঘটার উপায় অবশ্য ছিল না। তাই ভারতের জয় পাঁচ উইকেট হাতে রেখেই।

আসরজুড়ে দলের ভরসা হয়ে ছিলেন। যখন বল হাতে দরকার পড়েছে উইকেট এনে দিয়েছেন, দল বিপাকে পড়লে ব্যাট হাতে রান করেছেন। ফাইনালের মঞ্চেও সেই অদৃশ্য বিশ্বাসটা ধরে রাখলেন। ভাগ্য আর পারফর্ম্যান্সে দলকে এনে দিলেন নবম শিরোপার স্বাদ।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link