চট্টগ্রাম পর্ব শেষ হওয়ার পর আবারো ঢাকার মাঠে ফিরেছে বিপিএল। আর হোম অব ক্রিকেটে এসেও ভাগ্য বদলাতে ব্যর্থ হল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। চট্টগ্রাম পর্বে টানা ব্যর্থতার পর রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে তারা এ ম্যাচ হেরেছে ৫৫ রানে।
মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে রংপুরকে ব্যাটিংয়ে পাঠান চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক শুভাগত হোম। রংপুরের হয়ে এ বারের বিপিএলে প্রথম বারের মত এ দিন ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে আসেন মাহেদী হাসান। কিন্তু শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি এ ব্যাটারের। ইনিংসের তৃতীয় বলেই ফিরে যান ব্যক্তিগত ১ রান করে।
সাময়িক বিপদ সামলানোর দায়িত্ব নেন আরেক ওপেনার নাইম শেখ। কিন্তু মন্থর গতিতে রান তোলায় দলের উপর উল্টো চাপ বেড়ে যায় তাতে। একই সাথে অপর প্রান্ত থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় রানরেট একটা সময় ৬ এর নিচে চলে গিয়েছিল।
তবে ব্যাট হাতে এ দিন রংপুর রাইডার্সের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন শোয়েব মালিক। রানের গতি বাড়াতে চার ছক্কায় চট্টগ্রামের বোলারদের উপর রীতিমত তাণ্ডব চালিয়েছেন তিনি।
সাথে আজমতউল্লাহ ওমরজাইও শোয়েব মালিককে উইকেটে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছিলেন। ৪২ রান করে ওমরজাই ফিরে গেলেও শোয়েব মালিক তুলেন নেন ফিফটি। ৫ চার ও ৫ ছক্কায় ৪৫ বলে খেলেন অপরাজিত ৭৫ রানের ইনিংস। তাতে ১৭৯ রানের বড় এক সংগ্রহ পায় রংপুর রাইডার্স।
১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে এ দিনও শুরুতে উইকেট হারিয়ে প্রথমেই চাপে পড়ে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১১ রানেই হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। তবে এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক শুভাগত হোম।
বল হাতে ২ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে করেছেন ঝড়ো এক ফিফটি। ৩১ বলে খেলেছেন ৫২রানের ইনিংস। মাঝে জিয়াউর রহমানের ১২ বলে ২৪ রানের এক ক্যামিওতে একটা সময় ম্যাচ জয়েরও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল।
কিন্তু জিয়াউর রহমান আর শুভাগত আউট হয়ে যাওয়ার পর লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে থেকেই শেষ হয় চট্টগ্রামের ইনিংস। ইনজুরির কারণে আফিফ ব্যাট করতে না নামায় ৯ উইকেট ১২৪ রানে থেমে যায় চট্টগ্রামের ইনিংস। রংপুরের হয়ে ১৭ রানে ৩ উইকেট নেন পেসার হারিস রউফ। ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও পাকিস্তানিদেরই দাপট দেখল রংপুর।
৫৫ রানের এ জয়ের ফলে দুই ম্যাচ বাদে আবারো জয়ের ধারায় ফিরলো রংপুর রাইডার্স। একই সাথে খুলনাকে টপকে পয়েন্টে টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে এল নুরুল হাসানের দল।