দুর্ভাগা নিজেকে ভাবতেই পারেন এবাদত হোসেন। ইনজুরি যেন তাঁর পিছু আর ছাড়ছেই না। যত যাচ্ছে ইনজুরি থেকে সেরে ওঠার সময়টাও তত লম্বা হচ্ছে। একের পর এক নিজের স্বপ্নপূরণের পথও যেন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
চোটের কারণে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মত বড় মঞ্চ থেকে বাদ পড়ার পর, এবার আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেও ছিটকে যাচ্ছেন এবাদত হোসেন। এই খবরটা পুরনো, নতুন খবর হল – এবাদত হাল ছাড়ছেন না। নিজেকে পুরোদমে ফিরে পাওয়ার লড়াই তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
চলতি বছরের জুলাই মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হাঁটুর চোটে পড়েন এবাদত । সেই চোটের পর এবাদতের পা অস্ত্রোপচার করা হয়। বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলে থাকলেও, ইনজুরির কারণে মিস করেন বিশ্বকাপ।
এরপর থেকেই যেন পুনর্বাসনে আছেন তিনি। তার চোট সেরে উঠতে যে লম্বা সময় লাগবে সেটা তখনই নিশ্চিত করেছিলেন চিকিৎসকরাও। তবে সর্বশেষ খবর বলছে, দীর্ঘ এই পুনর্বাসন প্রক্রিয়া থেকে সেরে উঠতে এবাদতের আরো ছয় থেকে সাত মাস সময় লাগবে।
এবাদত অবশ্য দ্রুত বল হাতে মাঠে ফেরার জন্য করে যাচ্ছেন কঠোর পরিশ্রম। মিরপুরের অ্যাকাডেমি মাঠের এক পাশে আলাদা হয়ে চলে এবাদতের পুনর্বাসন। নিজেকে তাড়াতাড়ি ফিট করে বল হাতে আবারও মাঠে ফেরার জন্য এ যেন তাঁর প্রাণান্ত চেষ্টা। কিন্তু,তবুও যে এবাদতকে পুরো ফিট হতে অপেক্ষা করতে হবে লম্বা একটা সময়।
গতকাল সাংবাদিকদের বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু একদিন আগেই বলেন, ‘এবাদতের ফিট হতে আরো কয়েকটা মাস সময় লাগবে, সেপ্টেম্বরের আগে তাকে বল হাতে মাঠে দেখা যাবে না।’
অর্থাৎ, পরের মৌসুম থেকে বল হাতে মাঠে ফিরতে পারেন তিনি। তাইতো বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদেরও করতে হবে অপেক্ষা! দেশের জার্সি গায়ে এবাদতের সেই স্যালুটটা দেখার জন্য অপেক্ষা করে তাকিয়ে থাকতে হবে কয়েকটা মাস।