ক্লাসের দুই বেস্ট ফ্রেন্ড যেন। যেখানেই যান এক সাথে যান। যাই করেন এক সাথে করেন। কিন্তু, তাঁদেরকে পেশাদার ক্রিকেটের দুনিয়ায় ঠিক বন্ধুত্বের ছকে ফেলা যায় না। বন্ধুত্ব ছাপিয়ে আসলে তাঁরা গুরু-শীষ্য।
তবে, আধুনিক ক্রিকেটের কোচিং এখন অনেকটাই যোগাযোগ নির্ভর। খেলোয়াড়দের একান্ত কাছের মানুষ হয়ে তাঁদের সাথে মিশতে হয়। এবাদত হোসেন চাইলে তাই শন টেইটকে নিজের বন্ধু বলতেই পারেন।
একজন পেসারের জীবনের আক্ষেপটা শন টেইটের চেয়ে ভাল আর কেই বা জানেন। বিশ্ব কাঁপানো একজন স্পিডস্টার যখন ইনজুরির সাথে লড়াই করে যান, কখনও মাঠের বাইরে কখনও মাঠেই – তখন পাশে সেই ভরসার হাত রাখাটা জরুরী।
বাংলাদেশের এবাদত হোসেনের জন্য সেই ভরসার নাম শন টেইট।
চলতি শ্রীলঙ্কা সফর থেকেই বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হিসেবে যাত্রা শুরু হল শন টেইটের। আর সেই যাত্রার শুরুতেই তিনি ছায়া সঙ্গী হয়ে হাঁটছেন এবাদত হোসেনের পাশে। যেন, তিনি এবাদতে পার্সেনাল ট্রেইনার।
এবাদত গল টেস্টের একাদশে ঠাই পাননি। স্পিন সহায়ক উইকেটে সেটা পাওয়ার কথাও নয়। তবে, সেই গলের মাঠ থেকে শুরু করে কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব। এবাদত যখনই মাঠে নামেন, তাঁর পাশে থাকেন শন টেইট। হয়তো দিনের খেলা শেষ দু’জন এক সাথে পুরোটা মাঠ দৌঁড়ে বেড়াচ্ছেন।
কিংবা ম্যাচের আগের দিন এক সাথে গিয়ে দেখছেন সেন্টার উইকেট। লম্বা সময় বাদে, কাগজে কলমের হিসাবে সেই ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে থেকেই দলের বাইরে আছেন এবাদত হোসেন।
এই টেস্ট সিরিজ দিয়েই আবারও জাতীয় দলের দরজা খুলল তাঁর জন্য। শতভাগ ছন্দ এখনও পুরোপুরি ফিরেনি। এবাদতের জীবনে মানসিকত বিপর্যয় আসা খূবই স্বাভাবিক।
এই সময় শন টেইট সেই কাজটাই করছেন, যেটা এবাদতের জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরী। আর সেটা হল ভরসা যুগিয়ে যাওয়া।