আগের ম্যাচেই আরবি লাইপজিগের বিপক্ষে শিশুতোষ ভুল করে বসেছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ; তবে সেদিন ফরোয়ার্ড লাইনের নৈপুণ্যে জয় পেয়ে যায় অ্যাস্টন ভিলা। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগে ফিরেই পুনরায় ভুল করে বসলেন বিশ্বকাপজয়ী এই গোলরক্ষক! নিকোলা মিলেনকোভিচের হেডার তাঁর দুই হাতের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে আশ্রয় নেয় জালে।
জন ডুরানের গোলে এদিন ৬৩ মিনিটের সময় এগিয়ে গিয়েছিল অ্যাস্টন ভিলা; মিনিট বিশেক পরে ক্রিস উড নটিংহ্যাম ফরেস্টকে সমতায় ফেরালেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয় সেই গোল। ভিলার জয়ের স্বপ্ন তখন ডানা মেলতে শুরু করেছিল আকাশে।
কিন্তু ৮৭ মিনিটের সময় মার্টিনেজ হেরে যান ভাগ্যের কাছে; এখানেই শেষ নয়, ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে ভুল করে বসেন ম্যাটি ক্যাশ। বিপদজনক জায়গায় বলের দখল হারিয়ে ফেলেন ক্যাশ, আর সেটার ধারাবাহিকতায় গোল পেয়ে যান অ্যান্থনি ইলাঙ্গা।
সবমিলিয়ে নাটকীয় এক জয় পায় নটিংহ্যাম ফরেস্ট। অথচ এমনটা হওয়ারই কথা নয়, পুরো ম্যাচ জুড়ে দুর্ধর্ষ সব সেভ দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা; বিশেষ করে ৬০ মিনিটের মাথায় তাঁর দেয়া সেভটা এখনো চোখে লেগে থাকার কথা।
নিকোলাস ডমিনগেজের শক্তিশালী হেডারে মার্টিনেজ প্রায় পরাস্ত হয়েই গিয়েছিলেন কিন্তু দুর্দান্ত রিফ্লেক্সের প্রমাণ দিয়ে তিনি বলটা আটকে দেন একেবারে গোললাইনের ওপরেই। এভাবেই পুরো ম্যাচ জুড়ে অন্তত তিন-চারটা নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে দিয়েছেন।
যদিও লাভের লাভ হয়নি, হ্যাটট্রিক জয়ের পর উনাই এমেরির শিষ্যরা হারের স্বাদ পেলো। সেই সাথে নটিংহ্যামের রোমাঞ্চকর উত্থান আরো স্থায়ী হলো, আপাতত টেবিলে তাঁদের অবস্থান চার নম্বরে, ম্যানচেস্টার সিটির ওপরে!