অ্যাশেজে ইংল্যান্ডকে একমাত্র জয় এনে দিয়েছিলেন জশ টং। সেই পুরষ্কার হিসেবেই হয়ত বিশ্বকাপের দলে জায়গা পেলেন ইংলিশ এই পেসার। সেই সাথে রেহান আহমেদের কপাল খুলেছে। ইংল্যান্ডের ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে যে তারও জায়গা হয়েছে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের মাটিতে বসতে চলেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসর। সেই বিশ্বকাপকে সামনে রেখে, সবার আগে দল ঘোষণা করেছে ভারত। এরপরই এই তালিকায় যুক্ত হল ইংল্যান্ড। ছয়জন করে বোলার ও ব্যাটার, আর তিনজন অলরাউন্ডারকে নিয়ে তারা সাজিয়েছে নিজেদের বিশ্বকাপ স্কোয়াড।
নেতৃত্বে থাকছেন হ্যারি ব্রুক। ব্যাটিং অর্ডারে অভিজ্ঞ জশ বাটলার, বেন ডাকেটরা রয়েছেন। ইনজুরি কাটিয়ে আবারও ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন ডাকেট। মারকুটে ওপেনার ফিল সল্টকে ছাড়া ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড কল্পনা করা বোকামি। জ্যাকব বেথেল, টম ব্যাটনরাও রয়েছেন বিশ্বকাপের স্কোয়াডে।

অন্যদিকে বোলিং আক্রমণে সবচেয়ে বড় চমক জশ টংয়ের অন্তর্ভুক্তি। এর আগে ইংল্যান্ডের জার্সিতে একটিও সাদা বলের ম্যাচ খেলেননি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তার সফলতাও সন্তোষজনক নয়। ২১টি টি-টোয়েন্টিতে ২৯ উইকেট শিকার করেছেন, ইকোনমি ছিল ৯.০৭। কিন্তু তবুও তার উপর আস্থা রেখেছ টিম ম্যানেজমেন্ট। বিস্ময়কর বিষয় বটে।
এছাড়া রেহান আহমেদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে অবশ্য খুব বেশি আলোচনার কিছু নেই। ভারতের উইকেটে একজন বাড়তি স্পিনারের প্রয়োজনীয়তা যেকোন সময়ে সামনে চলে আসতে পারে। মূলত আদিল রশিদ ও লিয়াম ডসন এই দুই স্পিনারের অধিকাংশ ম্যাচ খেলার সম্ভাবনাই বেশি। তাদের সাথে পেস আক্রমণে সহয়তা করবেন জোফরা আর্চার, লুক উডরা।
অন্যদিকে অলরাউন্ডার উইল জ্যাকস, জেমি ওভারটন ও স্যাম কারানরাও দলের ভারসাম্য রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন নিঃসন্দেহে। মোদ্দাকথা, বেশ কম্প্যাক্ট একটা দল নিয়েই ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হবে ইংল্যান্ড। এর মধ্যে যদিনা কোন অঘটন ঘটে যায়- তবে এই ১৫ জনের মধ্য থেকে বদল আসা কঠিন।












