রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে একের পর এক ম্যাচে প্রত্যাবর্তনের কাব্য লিখেছিলেন জুড বেলিংহ্যাম। ইংল্যান্ড জার্সি গায়ে জড়ানোর পরও সেই অভ্যাস ভুলতে পারেননি তিনি। সেজন্যই ৯৪ মিনিটে অবিশ্বাস্য এক গোলে ইংল্যান্ডের রক্ষাকর্তা হয়ে উঠেন তিনি; তাঁর বাইসাইকেল গোলের সুবাদেই স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে হারতে হারতে জয়ের পথ খুঁজে পেলো ইংল্যান্ড।
গ্যারেথ সাউথগেটের অধীনে ইংলিশদের পারফরম্যান্স নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন ছিল। গত কয়েক বছরে দুর্দান্ত একটা স্কোয়াড নিয়েও প্রত্যাশিত ফলাফল করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এবারের ইউরোতেও হয়তো রাউন্ড অব সিক্সটিনে বাদ পড়তে হতো তাঁদেরকে, তবে পিছিয়ে পড়ার পরেও ২-১ গোলে জিতে টুর্নামেন্টে টিকে রইলো দলটি।
সেরা আটে উঠার লড়াইয়ে ইংলিশরা এদিন চারজনের ব্যাকলাইনের পাশাপাশি তিনজন করে মিডফিল্ডার আর ফরোয়ার্ড নিয়ে দল সাজিয়েছিল। স্লোভেকিয়াও প্রায় একই ঘরানার একাদশ নিয়ে পরিকল্পনা সাজায়, তবে রক্ষণে সামলে কাউন্টার অ্যাটাকেই বেশি মনোযোগ দিয়েছিল তাঁরা।
এমন পরিকল্পনাতে সাফল্যও মিলেছিল দ্রুত, শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে ভড়কে দিয়ে একাধিকবার গোলের সুযোগ তৈরি করে মিলান স্ক্রিনারের দল। ২৫ মিনিটের মাথায় পিকফোর্ডকে পরাস্ত করে ইভান স্ক্রাঞ্জ স্কোরলাইনে পরিবর্তন নিয়ে আসেন। নব্বই মিনিট পর্যন্ত এরপর আর কিছুই হয়নি।
যদিও শেষ দিকে নাটকয়তার জন্ম হয়েছে; বেলিংহ্যামের সমতাসূচক গোলের পর অধিনায়ক হ্যারি কেনের অতিরিক্ত সময়ের গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা নিয়ে করে নিয়েছে থ্রি লায়ন্সরা। মাত্র কয়েক মিনিটের মাঝে যেভাবে ফলাফল বদলে গিয়েছিল সেটা দেখার মতই ছিল।
কোয়ার্টার ফাইনালের আগে বাদ পড়লে নিঃসন্দেহে বিশাল তোপের মুখে পড়তে হতো ইংল্যান্ডকে। সেটা আর হলো না, তবে চিন্তা বেড়েছে দলটির কোচের। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয় তাঁদের প্রতিপক্ষ ডার্ক হর্স সুইজারল্যান্ড – সেই বাধা পেরুনোর জন্য সাউথগেট এখন থেকেই ভাবনা শুরু করেছেন হয়তো।