মাঝপথে থমকে গেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। অন্ধকার পথে ভারতের জন্য আশার আলো নিয়ে হাজির হয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলশ ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। আইপিএলের বাকি অংশ আয়োজনের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইসিবি।
এর আগে, সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার মাইকেল ভন মনে করেছেন আইপিএলের বাকি অংশ ইংল্যান্ডে করা জেতে পারে, তাতে লাভবান হবে বিসিসিআই। জুনে পাঁচ ম্যাচের লম্বা টেস্ট সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ডে যাবে ভারত, আইপিএল ইংল্যান্ডে হলে খেলোয়াড়দের জন্যও ভালো হবে।
শীর্ষস্থানীয় ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বিসিসিআইয়ের কর্মকর্তাদের সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন রিচার্ড গুল্ড, ইংল্যান্ড বোর্ডের প্রধান নির্বাহী। যদি ভারত আইপিএল পুনরায় শুরু করতে না পারে, তবে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলার প্রস্তাব এসেছে। যদিও এ নিয়ে এখনো কোনো ‘গঠনমূলক আলোচনা’ শুরু হয়নি বলে জানাচ্ছে ইসিবির এক শীর্ষসূত্র।
এমনকি সময়েরও হেরফের হতে পারে। কারণ, সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এশিয়া কাপের আসর বসার কথা খোদ ভারতেই। ভারতীয় বোর্ড সচিব দেবজিত সাইকিয়া বলেছেন, ‘নতুন সূচি ও ভেন্যুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে সময়মতো।’
চলমান ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে বিদেশি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা ই্যসুকে কেন্দ্র করে ১ সপ্তাহের জন্য সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে আইপিএল। তবে অনেকেই ধারণা করছেন এই পরিস্থিতিতে ভারতে আর টুর্নামেন্টটি কন্টিনিউ করা সম্ভব নয়, কারণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে, তাই বিকল্প কোনো দেশে টুর্নামেন্টের বাকি অংশ সরিয়ে নিতে হবে।
চলমান আইপিএলে এখনো বাকি রয়েছে গ্রুপ পর্বের ১৬ টি ম্যাচ। ৬ টি দল এখনো রয়েছে প্লে-অফ রেসে।এমতবস্থায় আইপিএলকে স্থানান্তরিত করলে মোমেন্টাম হারাতে পারে দল গুলো, ক্ষতিগ্রস্ত হবে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকেরা।
তবে এবারই প্রথম নয় বিদেশের মাটিতে আইপিএল। এর আগে ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০২১ সালের কোভিড পরবর্তী আইপিএল সংযুক্ত আরব-আমিরাতে হয়েছিল। আইপিএলের সাথে জড়িয়ে রয়েছে পুরো ভারতের ক্রিকেট অর্থনীতি। তাইতো স্থানান্তরিত করে হলেও পুরো টুর্নামেন্ট শেষ করতে চাইবে বিসিসিআই।
তবে এখনই আইপিএল শেষ করা না গেলে, আসছে সেপ্টেম্বরের এশিয়া কাপ বাতিল করে, সেই উইন্ডোতে আইপিএলের বাকি অংশ হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। যদিও এখনও কোনো সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত নয়।