শত চেষ্টাতেও ব্যর্থ ইরাসমাস

ব্যাটে-বলে নৈপূন্য প্রদর্শনের পরেও ব্যর্থ নামিবিয়ার দলপতি জারহার্ড ইরাসমাস। তাঁঁর অসামান্য পারফর্ম্যান্সও জয় এলো না নামিবিয়ার শিবিরে। তবে ব্যাটে কিংবা বলে, ইরাসমাসের জয়ের ক্ষুধা ছিল স্পষ্ট।

টসে জিতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নামে নামিবিয়া। তবে ওপেনিং ব্যাটাররা স্কোরবোর্ডে রান তুলতে বেশ হিমশিম খেয়েছে। ব্যাটিং করেছে পুরো ওয়ানডে ধাঁচে। তবুও যেন ২২ গজে ঠিকঠাক ঘাঁটি গড়তে পারেনি  কোনো ব্যাটার।

দলগতভাবে ২০ রানের কোঠা স্পর্শ করার আগেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়ে যায় নামিবিয়া। তখনই ক্রিজে আসেন জারহার্ড ইরাসমাস। দেখে শুনে ব্যাট চালাতে থাকেন তিনি। নামিবিয়ার রানের চাকা আবারো সচল হতে শুরু করে। জুটি গড়ার চেষ্টা করতে থাকেন সতীর্থ ব্যাটারদের সাথে। তবে ২২ গজের অপর প্রান্তে আসা যাওয়াতেই ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় নামিবিয়ার ব্যাটারদের।

মোট ৫২ রানের এক গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন ইরাসমাস। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৫ টি চার আর ২ টি ছক্কার মার। সেই ম্যাচে তিনি ব্যাট করেন প্রায় ১৬৮ স্ট্রাইক রেটে। তবে মাইকেল লিয়াস্কের বলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্কটল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ম্যাথিউ ক্রসের স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে নামিবিয়া শতরানের কোঠা পেরিয়ে গিয়েছে। মূলত ইরাসমাসের গুরুত্বপূর্ণ এই ইনিংসের উপর ভর করেই ২০ ওভার শেষে স্কটল্যান্ডকে ১৫৬ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় নামিবিয়া।

২৯ বছর বয়সী এই দলপতি বল হাতেও দিয়েছেন দায়িত্বশীলতার পরিচয়। বল করেছেন ৪ ওভার আর খরচ করেছেন ২৯ রান। শিকার করেছেন দুই  স্কটিশ টপ অর্ডার ব্যাটারকে। তবে দিনশেষে ইরাসমাস ব্যর্থ হয়েছেন দলের জন্য বিজয়ের মুকট ছিনিয়ে আনতে। নামিবিয়ার বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় পায় স্কটিশরা।

দিনটা ইরাসমাসের ছিল না। তাইতো আগামী ম্যাচে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিশ্চয়ই ঘুরে দাঁড়াবার সব চেষ্টাই করবে নামিবিয়া। আর অধিনায়কের এমন পারফর্ম্যান্স দলে জাগিয়েছে বাড়তি শক্তি আর প্রত্যাশা। সেই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আগামী ম্যাচগুলোতে কতটুকু প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে নামিবিয়া, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link