নিজের সর্বশেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ছিলেন বিধ্বংসী রূপে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই যেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু করেছিলেন নিকোলাস পুরান। সুপার এইটে ইংলিশ বোলরদের বিপক্ষে শুরুটা দারুণ করলেও ইনিংস শেষ করতে ব্যর্থ হন তিনি।
ম্যাচের পঞ্চম ওভারে ব্র্যান্ডন কিং চোটের কারণে মাঠের বাহিরে যেতে বাধ্য হলে ক্রিজে আসেন নিকোলাস পুরান। নিজের খেলা চতুর্থ বলেই বাউন্ডারি হাকিয়ে জানান দেন তাঁর আগমনের। সতীর্থ জনসন চার্লসকে নিয়ে রানের গতি সচল রাখেন তিনি।
চলতি বিশ্বকাপে দূর্দান্ত ফর্মে আছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেন ৯৮ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস। দূর্ভাগ্যবশত রান আউট না হলে হয়তো তুলে নিতেন বিশ্বকাপে প্রথম শতক।
সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আবারও দারুণ শুরু করলেন পুরান। সতীর্থদের সঙ্গ দিয়ে ধীরে ধীরে খেলতে থাকলেও সুযোগ পেলে বড় শট খেলতে পিছপা হননি তিনি।
প্রথমে উদ্বোধনী ব্যাটার জনসন চার্লসকে নিয়ে ৫৪ রানের পার্টনাশিপ গড়েন এই ক্যারিবিয়ান। যেখানে সমান ২৫ রানের অবদান রাখেন তাঁরা। ১২তম ওভারে চার্লস ফেরত গেলে অধিনায়ক পাওয়েলকে নিয়ে আবারও ইনিংস আগে বাড়ান পুরান। ইংলিশ বোলারদের উপর চড়াও হওয়া পাওয়েলকে সঙ্গ দেন তিনি।
তবে ইনিংসটি লম্বা করতে ব্যর্থ হন পুরান। ১৫তম ওভারের শেষ বলে আর্চারের শিকার হন তিনি। অফ স্ট্যাম্পের বাহিরের বলটি তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক জশ বাটলারের গ্লাভসে তালুবন্দি হন।
তাঁর ৩৬ রানের ইনিংসটি তিনি চারটি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে সাজান। এই ইনিংসের সুবাদে চলতি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রানের তালিকার শীর্ষে উঠে আসেন নিকোলাস পুরান।