ইংলিশ পরীক্ষায় ফেল করলো ভারত

প্রথম টেস্টে সবকিছুই হলো শুধু জেতা হলো না ইন্ডিয়ার। শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই, হারের শঙ্কা, জয়ের সম্ভাবনা সবকিছু ছাপিয়ে শেষ হাসিটা হাসলো ইংল্যান্ড। ভারত হারলো স্রেফ অনভিজ্ঞতার কাছে।

প্রথম টেস্টে সবকিছুই হলো শুধু জেতা হলো না ইন্ডিয়ার। শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই, হারের শঙ্কা, জয়ের সম্ভাবনা সবকিছু ছাপিয়ে শেষ হাসিটা হাসলো ইংল্যান্ড। ভারত হারলো স্রেফ অনভিজ্ঞতার কাছে।

এক টেস্টে সাত সেঞ্চুরি, যার পাঁচটি এসেছে ভারতীয় ব্যাটারদের থেকে। জয়সওয়াল, গিল, পান্তের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে ৪৭১ রানের বড় সংগ্রহ স্কোরবোর্ডে তোলে ভারত।

জবাবে ইংল্যান্ডের সামনে শুরুতেই বুমরাহ নামক বাধা। বেন ডাকেট, ওলি পোপ এবং হ্যারি ব্রুক মিলে সেই বাধা টপকে যান ভালোভাবেই। তবে বুমরাহকে তো আর একেবারে উপেক্ষা করা যায় না। ফাইফার তুলে একাই যেন লড়াই করলেন ইংরেজদের বিরুদ্ধে। ৬ রান পিছিয়ে থেকে ৪৬৫ তেই থামে স্টোকসের দল।

নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে অনবদ্য রাহুল, অবিশ্বাস্য পান্ত। দু’জনের ব্যাটেই আসে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। বড় টার্গেট সেট করার দিকেই তখন এগোচ্ছিলো টিম ইন্ডিয়া। তবে প্রথম ইনিংসের মতোই লোয়ার অর্ডার এবারও ব্যর্থ। ৩৩ রান সংগ্রহ করতেই হারিয়ে বসে ৬ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের লক্ষ্যটা ৩৭১ রানের।

চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এত বড় সংগ্রহ তাড়া করাটা দিবাস্বপ্নের মতোই ছিল। তবে সেটাকেই বাস্তব করার মিশনে নামলেন বেন ডাকেট। জ্যাক ক্রলিকে সাথে নিয়ে ওপেনিং জুটিতেই তোলেন ১৮৮ রান। নিজের ব্যাট থেকে আসা ১৪৯ রানের ইনিংসটি ভারতকে তখনই ছিটকে ফেলে ম্যাচ থেকে।

ডাকেট এবং ফর্মে থাকা ব্রুককে ফিরিয়ে দিয়ে কিছুটা আশা দেখিয়েছিলেন শার্দুল ঠাকুর। তবে সে আসায় সেঁধুড়ে বালি। অভিজ্ঞ রুট আর কাপ্তান স্টোকস মিলে বাকী কাজটা সহজ করে দেন। শেষমেষ ইংল্যান্ডের জয় আসে ৫ উইকেটের।

রোহিত-কোহলি নেই, মাঠে অনভিজ্ঞতার ছাপ স্পষ্ট ছিল। সেই সাথে পরিকল্পনাহীন বোলিং, বাজে ফিল্ডিং—সবমিলিয়ে গিলের সূচনাটা শুভ হলো না। প্রথম টেস্টেই ইংল্যান্ড তুলে জয়, আর ভারতের প্রাপ্তি বলতে ওই ব্যক্তিগত অর্জনটাই।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link