তামিম ইকবাল অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, খেলবেন না এশিয়া কাপেও – এসব খবর পুরনো হলেও এখনো রেশ কাটেনি। তামিমের উত্তরসূরী হিসেবে কে হবেন অধিনায়ক সেই সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি; যদিও ভিতরের খবর, সাকিব আল হাসানই দ্বিতীয়বারের মত ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব দিবেন। তবে ওপেনিং পজিশন নিয়ে এখনো কোন সূরাহা হয়নি।
তামিম ইকবাল শুধু দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানই নন, নির্ভরযোগ্য একজন ওপেনারও বটে। অভিষেকের পর থেকেই নতুন বলে বাংলাদেশের ভরসার নাম তামিম। তাই তো এই বামহাতির রেখে যাওয়া শূণ্যস্থান পূরণ করা একটু কঠিনই টিম ম্যানেজম্যান্টের জন্য; আর সেই কাজটা করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচে তামিম ইকবালের বিকল্প হিসেবে খেলেছিলেন মোহাম্মদ নাইম শেখ। তিনিই এখন ওপেনিং পজিশনে সুযোগ পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন।
সর্বশেষ ঢাকা লিগে সর্বোচ্চ রান করা এই তরুণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও তাঁর উপর আস্থা রাখছে নির্বাচকরা, অবশ্য হেডকোচ হাতুরুসিংহে তাঁকে কতটা পছন্দ করেন সেটাও একটা বড় বিষয়।
ইমার্জিং এশিয়া কাপে পারফর্ম করা বেশ কয়েকজন তরুণ ব্যাটসম্যানও আছেন জাতীয় দলের আশেপাশে। তানজিদ হাসান তামিম, জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয় – এদের যে-কেউ সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন এশিয়া কাপে। আর সেখানে ভাল করলে ভারতের বিমানের টিকিটও প্রায় নিশ্চিত।
অবশ্য এই তিনজনের মধ্যে দলে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি তানজিদ হাসান তামিমের। সিনিয়র তামিমের পথ অনুসরণ করে জুনিয়র তামিমই হতে পারেন লিটন দাসের সঙ্গী। ইমার্জিং এশিয়া কাপে তিন ফিফটি করে লাইমলাইটে উঠে আসা এই তরুণের সবচেয়ে বড় শক্তি তাঁর স্ট্রাইক রেট।
কোচ হাতুরুসিংহে পজিটিভ ইন্টেন্ট নিয়ে খেলতে চান শুরু থেকেই, সেক্ষেত্রে তামিম হতে পারেন ভাল পছন্দ। অন্যদিকে মাহমুদুল হাসান জয় আর জাকির হাসান দুইজনেই বাংলাদেশের টেস্ট দলের পরিচিত মুখ।
এমনিতে টপ অর্ডার ব্যাটার হলেও ইমার্জিং এশিয়া কাপে মিডল অর্ডারে খেলেছিলেন তাঁরা, পারফর্মও করেছেন প্রত্যাশামাফিক। বিশেষ করে জাকির হাসানের টেকনিক, স্ট্রাইক রোটেশন মুগ্ধ করেছে সংশ্লিষ্টদের।
চলমান ফিটনেস ক্যাম্পে আছেন এই তিনজনই, কাছ থেকে তাদের পর্যবেক্ষণ করছেন কোচ আর নির্বাচকরা। আগামী দুই একদিনের মধ্যেই জানা যাবে কারা থাকছেন এশিয়া কাপের প্রাথমিক স্কোয়াডে।
কেউ হয়তো এখনি সুযোগ পাবেন, কাউকে অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছু সময়। তবে এটা অন্তত স্পষ্ট যে এই তরুণদের সবাইকে লাল-সবুজের ভবিষ্যৎ ভেবে আগলে রাখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।