বরিশালের মিস্টার ফরচুন

সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে তিন ওভার এক বল করে মাত্র সাত রানে নিয়েছেন পাঁচটি উইকেট। তার করা ১৯টা বলের মধ্যে ১৫টাই ছিল ডট। এই ফাইফারেই ১৫ উইকেট শিকার করে স্বদেশি আকিব জাভেদের রেকর্ডে ভাগ বসালেন তিনি। বিদেশীদের মধ্যে তারাই এখন অবধি সবোর্চ্চ ১৫টি উইকেট নিয়েছেন।

উইকেট পাচ্ছিলেন নিয়মিতই, ফরচুন বরিশাল যে নিয়মিতই জয় পাচ্ছে তাঁর সারথী তিনিও। তবে, পুরো বিপিএল জুড়েই যেন ফাহিম আশরাফ ছিলেন ক্লাসের সেকেন্ড বয়। সেই সেকেন্ড বয়ের রোল নম্বর এবার এক হল। পাঁচ উইকেট নিয়ে একাই ধস নামালেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের ইনিংসে।

পারফেক্ট ইয়র্কারে সুমন খানের স্ট্যাম্প উড়িয়েই নিজের পঞ্চম উইকেটটা তুলে নেন পাকিস্তানের এই মিডিয়াম পেসার। চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এটি দ্বিতীয় ফাইফার। এখন অবধি এই আসরে বিদেশীদের মধ্যে যৌথ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী এখন ফাহিম।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে এসেই জোড়া আঘাত হানেন তিনি। রনি তালুকদার ও কাদিম আলাইনা কে ক্যাচের ফাদে ফেলে সাজঘরে ফেরান তিনি। চার উইকেটে ৩৫ রান নিয়ে তখন ধুকছে সিলেট। তার পরের ওভারেই এসেই এবার ক্লিন বোল্ড করে দেন নাহিদুল ইসলামকেও।

নিজের করা প্রতিটা ওভারেই উইকেট পেয়েছেন তিনি। তৃতীয় ওভারে এসে এবার তুলে নেন আরিফুল হকের উইকেট। আউটসাইড অফের শর্ট বলের ফাঁদে পড়ে ডিপ পয়েন্টে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সিলেটের অধিনায়ক। আর নিজের শেষ ওভারে বোল্ড করলেন সুমন খানকে।

সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে তিন ওভার এক বল করে মাত্র সাত রানে নিয়েছেন পাঁচটি উইকেট। বলতে গেলে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন তিনি সিলেট সিক্সার্সকে। তার করা ১৯টা বলের মধ্যে ১৫টাই ছিল ডট। এই ফাইফারেই ১৫ উইকেট শিকার করে স্বদেশি আকিব জাভেদের রেকর্ডে ভাগ বসালেন তিনি। বিদেশীদের মধ্যে তারাই এখন অবধি সবোর্চ্চ ১৫টি উইকেট নিয়েছেন।

যদিও বিপিএল মানেই তো পাকিস্তানিদের আধিপত্য। ব্যাট বলে মাতিয়ে রেখেছেন তারাই। ১৪ উইকেট নিয়ে তাদের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছেন খুশদিল শাহও। সিলেটকে মাত্র ১১৬ রানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ককে তাই বাহবা দিলো পুরো ফরচুন বরিশাল শিবির। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই বল হাতে এভাবেই তাদের ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন ফাহিম আশরাফ।

Share via
Copy link