টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ডেভিড মিলারের একটি চমকপ্রদ ক্যাচ লুফে নেন সুরিয়াকুমার যাদব। আর এর মাধ্যমেই ভারতকে ১৭ বছর পর শিরোপা জিততে সহায়তা করেন ভারতের এই তারকা ব্যাটার। তবে ম্যাচ শেষে এই ক্যাচ নিয়েই চলতে থাকে নানা বিতর্ক।
ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তে ক্যাচটি তালুবন্দি করেছিলেন সুরিয়া। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থক এবং বিশ্লেষক প্রতিটি কোণ পরীক্ষা করে তা নির্ধারণ করে যে সুরিয়াকুমারের পা সীমানায় স্পর্শ করেছে কি না। যা সম্ভাব্যভাবে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল।
শেষ ওভারে উত্তেজনাপূর্ন মুহূর্তের সময় এটি ঘটেছিল। তখন সুরিয়াকুমার তাঁর অসাধারণ দক্ষতা দেখিয়েছিলেন এবং বাউন্ডারিতে একটি আশ্চর্যজনক ক্যাচ ধরেছিলেন। হার্দিক পান্ডিয়ার ফুল টস বলে ডেভিড মিলার সজোরে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে মারেন।
সুরিয়া তাঁর বাম দিকে দৌড়ে বলটি তালুবন্দি করেন। তবে বাউন্ডারির বাহিরে যাওয়ার আগে তিনি বলটি আকাশে ছুড়ে দেন এবং আবার লাফ দিয়ে বলটি পুনরায় তালুবন্দি করেন। তবে প্রথমবার বলটি ধরার সময় তাঁর পা বাউন্ডারি লাইনে স্পর্শ করে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি জানায় দক্ষিণ আফ্রিকান ভক্তরা।
ভিডিওতে দেখা যায় সুরিয়ার পায়ের সামনের বাউন্ডারি কিছুটা নড়ে উঠে। সেখান থেকেই ভক্তদের মনে প্রশ্ন জাগতে থাকে, সুরিয়ার পা কি আসলেই বাউন্ডারি লাইনে স্পর্শ করেনি!
তবে ভিডিওটি ভাল করে লক্ষ্য করলে পরিষ্কার বোঝা যায় যে বাতাসের কারণেই বাউন্ডারি বার হালকা নড়ে উঠে। তবুও এমন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে তৃতীয় আম্পায়ার রিচার্ড কেটলবরোর দ্রুত সিদ্ধান্তই যেন ভক্তদের মনে প্রশ্ন জাগায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভক্ত লিখেন, ‘তাঁরা কত দ্রুত এই সিদ্ধান্ত দিয়েছিল, আক্ষরিক অর্থে পুরো বিশ্বকাপ সেই সিদ্ধান্তেই নির্ভর ছিল।’
ম্যাচ শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করামের মুখে অবশ্য শোনা যায়নি এমন কোনো কথা। যদিও শিরোপার এতো কাছে থেকে ফিরে যাওয়ায় কিছুটা দু:খিত তিনি। তবে নিজের দল নিয়ে গর্বিত দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক। তিনি মনে করেন দুর্দান্ত একটি বিশ্বকাপ কাটিয়েছেন তাঁরা। যা ভবিষ্যতে তাঁদের শিরোপা জয়ে অনুপ্রেরণা যোগাবে।