তাঁর একেকটি বল যেন একেকটি অগ্নি গোলক, একেকটি বল মানেই একেকটি উইকেট। নিউজিল্যান্ডের মত দলের অভিজ্ঞ সব ব্যাটাররাও রীতিমত হিমশিম খেয়েছেন তাঁর বল মোকাবেলা করতে, বলছি আফগান পেসার ফজল হক ফারুকির কথা।
গত ম্যাচে উগান্ডার ব্যাটিং লাইন আপ ধসিয়ে দেয়ার পর কিউদের বিপক্ষে আবারও জ্বলে উঠলেন ফারুকি। নবাগত উগান্ডার বিপক্ষে তাঁর কাজটা যদিও খানিকটা সহজ ছিল। তবে কিউইদের বিপক্ষে আবারও তাঁর জাতটা ঠিকই চেনালেন বাঁ-হাতি এই আফগান পেসার। ১৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ফারুকির বলে খেই হারায় নিউজিল্যান্ড।
দিন যতই যাচ্ছে ফারুকির বলের ধার যেন ততই বাড়ছে। সময়ের সাথে সাথে তিনি হয়ে উঠেছেন টপ অর্ডার ব্যাটাদের ত্রাস। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও রাখলেন সেটার প্রমাণ। ইনিংসের প্রথম বলেই কিউই দুর্গে হানা দেন ফারুকি। তাঁর সেই অগ্নি গোলক সরাসরি আঘাত হানে ফিন অ্যালেনের স্ট্যাম্পে। শূন্য রানে সাজঘরে ফেরান অ্যালেনকে।
তাঁর দ্বিতীয় ওভারেও আবারও আঘাত হানে ফারুকি। এবার তাঁর শিকার বাঁ-হাতি ব্যাটার ডেভন কনওয়ে। তাঁর ক্যাচ তালু-বন্দী করেন আরেক আফগান ইবরাহীম জাদরান। ফারুকির দুই ওভারেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে নিউজিল্যান্ড।
তাইতো দলগত পঞ্চম ওভারে আবারো ফারুকিকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক রশিদ খান। তবে এদিন যেন ফারুকির বল আরো দুর্বোধ্য হয়ে উঠলো নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের কাছে। ব্যাটে বলে ঠিকঠাক সংযোগই ঘটাতে পারেননি কিউই ব্যাটাররা। ফারুকির তিন নাম্বার শিকার ড্যারেল মিশেল।
নিজের চতুর্থ ওভারে আবারও আঘাত হানে ফারুকি। ম্যাট হেনরিকে আউট করার মাধ্যমে কিউইদের লজ্জার পরাজয়ে ডোবান আফগান এই পেসার। মাত্র ৭৫ রানেই ইতি ঘটে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের। চার ওভারের স্পেল সম্পূর্ণ করতে পারেননি তিনি। কেননা তাঁর আগেই শেষ হয় কিউইদের ইনিংস। মাত্র ১৭ রান খরচে তুলে নেন চার চারটি উইকেট।
পরপর দুই ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ফারুকির এবারের বিশ্বকাপে ব্যাটারদের জন্য হয়ে উঠেছেন আতঙ্কের নাম। আফগান এই পেসারের সামনে গুড়িয়ে যাচ্ছে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং দুর্গ। বোঝাই যাচ্ছে এবারের বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের জন্য সাফল্যের ফোয়ারা বয়ে আসতে পারে এই বাঁ-হাতির হাত ধরেই।