শিকারের নেশায় উন্মাদ

আধুনিক ক্রিকেটে এখন বিনোদন মানেই কেবল রান বন্যা। ব্যাটসম্যানরা যত বেশি রান করতে পারে, তত বেশি বিনোদন পায় দর্শকরা। আর তাই ব্যাটিং সহায়ক পিচ, ফিল্ড রেস্ট্রিকশন এর মত সুবিধা দেয়া হয় ব্যাটারদেরকে৷ অন্যদিকে, বোলারদের জন্য তাই খেলাটা একটু চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে।

আধুনিক ক্রিকেটে এখন বিনোদন মানেই কেবল রান বন্যা। ব্যাটসম্যানরা যত বেশি রান করতে পারে, তত বেশি বিনোদন পায় দর্শকরা। আর তাই ব্যাটিং সহায়ক পিচ, ফিল্ড রেস্ট্রিকশন এর মত সুবিধা দেয়া হয় ব্যাটারদেরকে ৷ অন্যদিকে, বোলারদের জন্য তাই খেলাটা একটু চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে।

একটা সময় ওয়ানডে ফরম্যাটে ২০০ রান করাটাই ছিল বিশাল কিছু, গত পাঁচ কিংবা সাত বছর আগে ৩০০ রান করা ছিল বড় দলগুলোর প্রাথমিক লক্ষ্য। কিন্তু এখন ৩৫০ কিংবা ৪০০ রান করা ওয়ানডে ক্রিকেটের নিয়মিত দৃশ্য। তারপরও প্রতিকূলতার মাঝে সেরা বোলাররা ঠিকই পারফর্ম করেছেন। পিচের সাহায্য না পেলেও নিজের বুদ্ধিমত্তা আর দক্ষতার জোরে নাকাল করেছেন ব্যাটারদের।

বল হাতে গড়ে যাচ্ছেন ছোট-বড় কত রেকর্ড। এমনি একটি কীর্তি পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে ২০০ উইকেট সংগ্রহ করা। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে বলের হিসেবে দ্রুততম ২০০ উইকেট নেয়া বোলারদের নিয়ে আজকের আয়োজন।

  • মিশেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া)

অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার মিশেল স্টার্ক নিয়মিত ওয়ানডে ম্যাচ খেলেন না। তাই তো ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করতে লেগে গিয়েছে এত বছর। অবশ্য বলের হিসেবে এই ক্লাবের সদস্য সবচেয়ে দ্রুততম সদস্য তিনি।

৫২৪০ টি ডেলিভারি করার পর ২০০ জন ব্যাটারকে আউট করতে সক্ষম হয়েছেন এই বাম-হাতি। বড় সিরিজ কিংবা বিশ্বকাপ ছাড়া রঙিন পোশাকে স্টার্ককে কমই দেখা যায়।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেই এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন আর এই সিরিজেই গড়েছেন রেকর্ড। এখন দেখার বিষয়, এই পেসার ক্যারিয়ার শেষে কোথায় গিয়ে থামেন।

  • সাকলাইন মুশতাক (পাকিস্তান)

মিচেল স্টার্কের আগে মর্যাদার এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার সাকলায়েন মুশতাক। এই কিংবদন্তি স্পিনার ৫৪৫৭ বল করার পরেই প্রবেশ করেছিলেন ২০০ উইকেট শিকারির তালিকায়।

২০০ উইকেট নেয়ার ক্ষেত্রে লম্বা একটা সময় ধরে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে দ্রুততম বোলার। ক্রিকেট দুনিয়ার সাথে দুসরা ডেলিভারিকে নতুন করে চেনানো সাকলায়েন মুশতাক নিজের ক্যারিয়ারে অনেকবারই পাকিস্তানকে উদযাপনের উপলক্ষ এনে দিয়েছিলেন।

শুধু উইকেট তোলা নয়, রান খরচের দিকে হিসেবী ছিলেন এই ক্রিকেটার। ২০০৩ সালে অবসর গ্রহণের সময় তাঁর নামের পাশে ছিল ২৮৮ ওয়ানডে উইকেট।

  • ব্রেট লি 

বলের হিসেবে ২০০ উইকেট সংগ্রহের ক্ষেত্রে তৃতীয় দ্রুততম বোলার ব্রেট লি। অস্ট্রেলিয়ার এই ফাস্ট বোলার ৫৬৪০টি ডেলিভারি করার পর ২০০তম উইকেটটি পেয়েছিলেন। প্রায় এক যুগের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে ৩৮০টি ওয়ানডে উইকেট পেয়েছেন ব্রেট লি।

এছাড়া বোলিং গড় ২৩.৪ এবং ওভার প্রতি মোটে ৪.৭৬ রান খরচ করেছেন তিনি। অজিদের হয়ে দুইটি বিশ্বকাপ জেতা এই পেসার নিঃসন্দেহে এই ফরম্যাটের একজন কিংবদন্তি হয়েই অবসর নিয়েছেন।

  • ওয়াকার ইউনুস

বোলারদের এমন রেকর্ড খুব কমই আছে যেখানে শীর্ষস্থানীয় কয়েকজনের মধ্যে ওয়াকার ইউনুসের নাম পাওয়া যাবে না। ব্যতিক্রম হয়নি দ্রুততম ২০০ উইকেট শিকারের রেকর্ডের ক্ষেত্রেও। ৫৮৮৩ বলে নিজের ২০০ ওয়ানডে উইকেট পাওয়া ওয়াকার ইউনুস আছেন এই তালিকার চার নম্বরে।

তবে এখানেই থেমে যাননি তিনি। ২০০৩ সালে অবসর নেয়ার আগ পর্যন্ত ২৬২টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলা এই পাক পেসার তুলে নিয়েছেন ৪১৬ উইকেট।

  • শোয়েব আখতার

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে পেস সেনসেশন শোয়েব আক্তারের ২০০ উইকেট পেতে লেগে গিয়েছে ৬১০২ বল। বলের হিসেবে তাই তিনি এই ক্লাবের পঞ্চম দ্রুততম বোলার। ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ খ্যাত শোয়েব আখতার ওয়ানডে ক্যারিয়ার অবশ্য খুব একটা বড় নয়। প্রায় তেরো বছর এই ফরম্যাটে খেললেও মাত্র ১৬৩ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। আর এই সময় ২৫ বোলিং গড়ে তুলেছেন ২৪৭টি উইকেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link