ফাইনাল ডিফাইনিং ইমন

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে তিনি প্রায় ছিটকেই যাচ্ছিলেন। বিপিএলের শুরুর অংশে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। তবে, টুর্নামেন্ট যত এগিয়েছে। ততই যেন ছায়া ভেঙে বেরিয়েছেন তিনি। আর তার শেষটা রাঙা হল ফাইনালেই।

ফরচুর বরিশালকে মাটি নামিয়ে আনতে হত। সেই মাটিতে নামিয়ে আনার কাজটা করেছেন পারভেজ হোসেন ইমন। বড় ইনিংস তো খেলেছেনই, কিন্তু তাঁর আগে শুরুর ঝড়টা বরিশালের মত দলের বিপক্ষে খুবই দরকার ছিল চিটাগং কিংসের।

মিরপুরের ফাইনালে স্পষ্ট ফেবারিট বরিশাল। শুরুতেই সেই লড়াইয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য দরকার ছিল, তাদের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে চড়াও হওয়া। সেই কাজে ইমন ছিলেন অগ্রনায়ক। মাত্র ১২ বলে তিনি ৩২ রান করে ফেলেন।

ইমন ঝড়ে বরিশাল এতটাই কাবু ছিল যে, চতুর্থ ওভারেই স্পিনার আনতে বাধ্য হয়। তাতেও কোনো লাভ হয়নি, তানভির ইসলামের সেই এক ওভারেই ১৭ রান করেন ইমন। ওপেনিং জুটি থেকে আসে ১২১ রান। আর সেখানে খেলে মাত্র ১২.৪ ওভার।

খাজা নাফে এবাদতের বলে সাজঘরে ফিরে গেলেও ছিলেন ইমন। ইনিংসের শেষ বল অবধি ছিলেন ক্রিজে। শেষ দুই ওভারে তিনি স্ট্রাইক পেয়েছেন মাত্র একটা বলে। সেটা না হলে, কোনো সন্দেহ ছাড়াই চিটাগংয়ের রান পৌঁছে যেত ২০০-রানে।

সেটা না হলেও ১৯৪ রানের ইনিংসে সবচেয়ে বড় অবদান ইমনের। ইমন শেষ অবধি ৪৯ বলে ৭৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। চারটি ছক্কা আর ছয়টি চারে সাজানো ফাইনাল ডিফাইনিং এক ইনিংস। আর এই ইনিংসটা ইমনের ক্যারিয়ারেও নতুন এক দিশা দিল।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে তিনি প্রায় ছিটকেই যাচ্ছিলেন। বিপিএলের শুরুর অংশে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। তবে, টুর্নামেন্ট যত এগিয়েছে। ততই যেন ছায়া ভেঙে বেরিয়েছেন তিনি। আর তার শেষটা রাঙা হল ফাইনালেই।

Share via
Copy link