ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথডের সেই ডাকওয়ার্থ আর নেই!

বৃষ্টি যেন ক্রিকেটের চিরশত্রু। কেননা বৃষ্টি এলেই থামাতে হয় ম্যাচ। অপচয় হয় সময়। আর তখনই চলে আসে বৃষ্টি আইন। বেজায় জটিল এক পদ্ধতি। বৃষ্টি-বিঘ্নিত ক্রিকেট ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণের জন্য ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির অন্যতম উদ্ভাবক ফ্র‍্যাঙ্ক ডাকওয়ার্থ ২১ জুন শুক্রবার ৮৪ বছর বয়সে মারা যান।

ক্রিকেটের সব থেকে আলোচিত একটি নিয়ম হলো ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতি। এটি একটি গাণিতিক ফর্মুলা। যা আবহাওয়ার কারণে বাধাগ্রস্ত হওয়া সীমিত ওভারের ক্রিকেট ম্যাচে ওভার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে লক্ষ্য গণনা করার জন্য তৈরি করা হয়।

ইংরেজ পরিসংখ্যানবিদ ডাকওয়ার্থ এবং টনি লুইস দ্বারা উদ্ভাবিত মূল পদ্ধতিটি ১৯৯৭ সালে আন্তজার্তিক ক্রিকেটে প্রথম ব্যাবহার করা হয়েছিল। ২০০১ সালে আইসিসি কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদ্ধতি গৃহীত করা হয়। ডাকওয়ার্থ ও লুইসের অবসরের পর অস্ট্রেলিয়ান পরিসংখ্যানবিদ স্টিভেন স্টার্ন দ্বারা এই পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন করা হয়। এবং ২০১৪ সালে এটির নামকরণ করা হয় ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতি।

ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি পূর্বের বৃষ্টির নিয়মকে প্রতিস্থাপন করেছে। যা আগে বাধা প্রাপ্ত ম্যাচে টার্গেট গণনায় ব্যবহৃত হতো। ১৯৯২ সালে সিডনিতে ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচের পর এই বৃষ্টি নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকলে তা প্রতিস্থাপন করা জরুরি হয়ে পরে।

ডাকওয়ার্থ ২০১৪ সাল পর্যন্ত আইসিসির পরামর্শক পরিসংখ্যানবিদ ছিলেন। আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, ‘ফ্র‍্যাঙ্ক একজন শীর্ষ পরিসংখ্যানবিদ ছিলেন। তিনি তাঁর সহকর্মীদের পাশাপাশি বৃহত্তর ক্রিকেট ভ্রাতৃত্বের দ্বারা সম্মানিত ছিলেন। ফ্র‍্যাঙ্ক ও তাঁর সহকর্মীর দ্বারা সৃষ্টি করা ডিএলএস পদ্ধতিটি আমরা দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাবহার করছি।’

ডাকওয়ার্থের মৃত্যুতে দু:খ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ‘খেলায় ফ্র‍্যাঙ্কের অবদান অপরিসীম। তাঁর মৃত্যুতে ক্রিকেট বিশ্ব দুঃখিত। আমরা তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আমাদের সমবেদনা জানাই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link