নির্ভরতার আরেক নাম বিরাট কোহলি, দ্য চেজ মাস্টার। তবে, মঙ্গলবার রাতে দুবাইয়ের কঠিন পিচে তিনি এমন এক ভুল করলেন, যা দেখে ভারতীয় প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরও প্রচণ্ড বিরক্তি প্রকাশ করলেন।
যখন ম্যাচ শেষ করে আসার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন, তখনই অযথা ঝুঁকি নিয়ে আউট হয়ে গেলেন, যেটা ভারতীয় শিবিরের জন্য বেশ হতাশার মুহূর্ত হয়ে দাঁড়ায়। যদিও, শেষ অবধি বিপদ আসতে দেননি লোকেশ রাহুল কিংবা হার্দিক পান্ডিয়ারা।
ভারত যখন ৮ ওভারে ৪৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল, তখন শেয়ারাস আইয়ারের সঙ্গে ৮৯ রানের জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলেন কোহলি। এরপর পাঁচ নম্বরে নামা অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে আরও ৪৪ রান যোগ করেন, আর লোকেশ রাহুলের সঙ্গে গড়েন ৪৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ।
অনেক কীর্তি গড়ার ম্যাচে কোহলির মূল লক্ষ্য অবশ্যই ছিল ম্যাচ শেষ করে আসা, যেখানে আরেকটি সেঞ্চুরির সুযোগও ছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত শতরানের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পাওয়ার দারুণ সুযোগ এসেছিল তার সামনে।
কিন্তু, সেই সম্ভাবনাকে পেছনে ফেলে তিনি অ্যাডাম জাম্পার লাফিয়ে ওঠা গুগলি বলটিকে আকাশে তুলে মারতে গেলেন। ব্যাটের নিচের দিকে লেগে বল সোজা গিয়ে জমা পড়ল লং-অনে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডারের হাতে।
তার এই শট দেখে শুধু রাহুলই নয়, গম্ভীরও স্পষ্টত বিরক্ত হন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, গম্ভীর বলছেন, ‘রাহুল তো মারছিলোই!’ এর অর্থ হল, যখন লোকেশ রাহুল ইতোমধ্যেই আক্রমণে ছিল, তখন কোহলির এভাবে উইকেট দেওয়া মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ হয়নি।
পরে ড্রেসিংরুমে গম্ভীরকে কোহলির সঙ্গে উত্তপ্ত আলোচনা করতে দেখা যায়, যেখানে তিনি হাত দিয়ে ইঙ্গিত করে বোঝাচ্ছিলেন কোন শটে আউট হলেন কোহলি। যেন কোহলির কাছে জবাব চাচ্ছিলেন গম্ভীর।
তবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে গম্ভীর কোহলির প্রশংসা করতেও ভোলেননি। তিনি বলেন, ‘তাঁর মতো ক্রিকেটার একদিনের ফরম্যাটে অসাধারণ। তিনি জানেন কীভাবে নিজের ইনিংস সাজাতে হয়, কীভাবে পরিকল্পনা করতে হয়। ওর রেকর্ডই বলে দেয় তিনি কতটা বড় খেলোয়াড়।’