আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বলে বোল্ড হয়ে গেলেন গামিনি ডি সিলভা। না, চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি, তবে আপাতত লঙ্কান এই কিউরেটরকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ঢাকার বাইরে। গামিনির সাথে নিজে কথা বলেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন বোর্ড সভাপতি।
লঙ্কান এই কিউরেটরকে ঘিরে আলোচনা-সমালোচনার কোনো শেষ নেই। বলা হয়, বিসিবির লঙ্কান সিন্ডিকেটের অংশ বলেই তাকে সরিয়ে দেওয়া মুখের কথা নয়। এমনিতেই মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটের দূর্নাম আছে। সর্বশেষ পাকিস্তান সিরিজেও প্রতিপক্ষ দলের কোচ মাইক হেসন সরাসরি উইকেটের সমালোচনা করে গেছেন।
টেলিভিশন অনুষ্ঠানে গিয়ে বুলবুল নিজেও কোনো রাখঢাক না রেখেই বলে দিয়েছিলেন, ‘মিরপুরের উইকেট বিলো স্ট্যান্ডার্ড।’ সেই বক্তব্যের পরই যে গামিনির ওপর খড়গ নেমে আসতে চলেছিল – সেটা বোঝাই যাচ্ছিল। আর হলও তাই। মিরপুরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাচ্ছেন গামিনি। প্রায় ১৬ বছর মিরপুরকে নিজের ছত্রছায়ায় আগলে রাখা গামিনিকে সরে যেতে হচ্ছে।
গামিনির সাথে বিসিবির চুক্তি ছিল চলতি মাস পর্যন্ত। সেই চুক্তির মেয়াদ এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে। তবে, এই সময়ে তিনি কাজ করবেন ঢাকার বাইরে। অবসরের পর স্পেনে থাকা ছেলের কাছে ফিরে যাবেন—এমনই ছিল তাঁর পরিকল্পনা। কিন্তু বোর্ড ভিন্ন পথে হাঁটলো। চুক্তি নবায়ন করে ২০২৬ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত তাঁকে রেখে দিল। মানে, বাকি সময়টা গামিনির কাটবে অনেকটা নির্বাসনের মত।
২০১০ সাল থেকে মিরপুরে কর্মরত গামিনিকে প্রায় দেড় যুগ ধরে হাজার হাজার ডলার বেতন দিয়ে রেখে দিয়েছে বিসিবি। এত বছরেও তাঁর হাত ধরে দেশের ক্রিকেটে মানসম্পন্ন কিউরেটর তৈরি হয়নি। দেশের কোথাও উল্লেখযোগ্য ভালো উইকেট বানাতেও দেখা যায়নি তাঁকে।
বরং, মিরপুরের পিচ নিয়ে বিতর্ক বারবার। প্রশ্ন উঠেছে বহুবার। আইসিসির পক্ষ থেকে ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়েছে। খেলোয়াড়দের সাথে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগও পাওয়া গেছে। তবুও গামিনি টিকে গেছেন বারবার। তবে, শেষ বেলায় বিদায়ের ঠিক আগ মুহূর্তে বুলবুলের দেওয়া লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়ে বের হয়ে যেতে হল তাঁকে।