ফোর্টিসকে দেখার সময় নেই গম্ভীরের

তার থেকেও আগেই, সোমবার ইংল্যান্ড কোচ ম্যাককালাম আর ইসিবির ডিরেক্টর রব কি সরাসরি পিচে যান, ফোর্টিস তখন চুপ। অথচ ভারতের ক্ষেত্রেই কেবল নিয়মকানুনের খড়গ। এক কথায়, দুই দলের প্রতি আলাদা মাপের আচরণ স্পষ্ট।

ভারতীয় শিবির আর সারে গ্রাউন্ড স্টাফের মধ্যে চলমান টানাপোড়েন থামার নামই নিচ্ছে না। প্রধান কিউরেটর লি ফোর্টিস আর ভারতীয় কোচ গৌতম গম্ভীরের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর, চূড়ান্ত টেস্টের আগের দিন বুধবার ফের ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল।

এদিন ভারতীয় অধিনায়ক শুভমান গিল, কোচ গম্ভীর, ব্যাটিং কোচ সিতাংশু কোটাক আর প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার মূল পিচের পাশে আলোচনা করছিলেন। তখনই ফোর্টিস এসে কোটাককে জায়গা বদলাতে বলেন। যদিও তাদের অবস্থান খুব একটা পিচের কাছাকাছি ছিল না, তবুও ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট কোনো ঝামেলা না করেই জায়গা বদলায়।

তবে, গম্ভীরের মনোভাব ছিল স্পষ্ট। ফোর্টিসকে তিনি একপ্রকার পুরোপুরি উপেক্ষা করেন, যেন লোকটিই নেই। ফোর্টিসের দিকে তিনি তাকানোরও প্রয়োজন বোধ করেননি।

এরপর ফোর্টিস ফিরে যান। গিল, গম্ভীর, কোটাক আর আগারকার তাদের আলোচনা চালিয়ে যান। গিল এরপর পিচের কাছাকাছি গিয়ে হাঁটু গেড়ে বসেন, দেখতে পান স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘাসের আভাস আছে।

মঙ্গলবার ভারতীয়দের প্র্যাকটিস চলাকালে, ফোর্টিস ভারতের টিম স্টাফদের সেন্টার উইকেট থেকে আড়াই মিটার দূরে থাকতে বলেন। এতে ভারতীয় শিবিরের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। গম্ভীর কড়া ভাষায় বলেন, ‘আমাদের কী করতে হবে সেটা বলার তুমি কেউ না।’

চূড়ান্ত টেস্টের আগের দিন এ নিয়ে শুভমান গিল বলেন, ‘কাল যা হয়েছে, সেটা একদমই অপ্রয়োজনীয়। কোচের অধিকার আছে উইকেট দেখার।’

সবচেয়ে বিস্ময়ের ব্যাপার—ঐদিনই ইংল্যান্ডের জো রুট আর অন্তর্বর্তী অধিনায়ক ওলি পোপকে সেন্টার উইকেটে দাঁড়িয়ে শ্যাডো ব্যাটিং করতে দেখা গেছে। এমনকি বেন স্টোকস আর কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম কিউরেটরের সামনেই পিচের পাশে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন—তবুও তাদের কেউ কিছু বলেনি।

তার থেকেও আগেই, সোমবার ইংল্যান্ড কোচ ম্যাককালাম আর ইসিবির ডিরেক্টর রব কি সরাসরি পিচে যান, ফোর্টিস তখন চুপ। অথচ ভারতের ক্ষেত্রেই কেবল নিয়মকানুনের খড়গ। এক কথায়, দুই দলের প্রতি আলাদা মাপের আচরণ স্পষ্ট।

Share via
Copy link