লাল বলের ব্যর্থতায় গম্ভীরকে ঘিরে সংশয়

ভারতীয় ক্রিকেট দল ও গৌতম গম্ভীরের জন্য ২০২৫ সালটি যেন সাফল্য আর ব্যর্থতার এক অদ্ভুত সহাবস্থান। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারত যখন একের পর এক শিরোপার হাসি হাসছে, ঠিক তখনই টেস্ট ক্রিকেটে বারবার মুখ থুবড়ে পড়ছে।  বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি হাতছাড়া হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে এসেছে চরম হতাশা। ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয় ভারত। সেই থেকেই যেন গম্ভীরকে ঘিরে আলোচনা আরও তীব্র হয়েছে।

ভারতীয় ক্রিকেট দল ও গৌতম গম্ভীরের জন্য ২০২৫ সালটি যেন সাফল্য আর ব্যর্থতার এক অদ্ভুত সহাবস্থান। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারত যখন একের পর এক শিরোপার হাসি হাসছে, ঠিক তখনই টেস্ট ক্রিকেটে বারবার মুখ থুবড়ে পড়ছে। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি হাতছাড়া হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে এসেছে চরম হতাশা। ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয় ভারত। সেই থেকেই যেন গম্ভীরকে ঘিরে আলোচনা আরও তীব্র হয়েছে।

গত বছরেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ০-৩ এ লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করতে হয় গম্ভীরের নিয়ন্ত্রাধীন দলকে। লাল বলের ক্রিকেটে এই ধারাবাহিক পতন গম্ভীরের টেস্ট কোচ হিসেবে ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে ক্রিকেট মহলে।

এমন প্রেক্ষাপটেই ভারতের এক শীর্ষ সংবাদ মাধ্যম দাবি করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই হতাশাজনক সিরিজ শেষ হওয়ার পরপরই বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যক্তি অনানুষ্ঠানিকভাবে ভিভিএস লক্ষ্মণের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁর আগ্রহ জানার জন্যে।

তবে ওই প্রতিবেদনে এটাও স্পষ্ট করা হয়, বেঙ্গালুরুর সেন্টার অব এক্সেলেন্সে ‘হেড অব ক্রিকেট’  হিসেবে নিজের বর্তমান ভূমিকাতেই সন্তুষ্ট লক্ষ্মণ। সাবেক এই কিংবদন্তি ব্যাটার নতুন কোনো দায়িত্বে আগ্রহ দেখাননি বলেই জানা গেছে।

তবে বোর্ডের এক প্রবীণ ব্যাক্তি এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর ভাষ্যমতে ২০২৭ বিশ্বকাপ অবধি গম্ভীরেই আস্থা রাখছে বোর্ড। তাঁকে সরানোর ব্যাপারে কোনো আলোচনাই হয় নি।

কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট মাত্রই অনিশ্চয়তা যেন চিরসাথী। যদিও বিসিসিআইয়ের সঙ্গে গম্ভীরের চুক্তি বহাল রয়েছে ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত, তবুও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে সেই চুক্তি নতুন করে মূল্যায়িত হতে পারে।

২০২৬ সালের আগস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টি টেস্ট, অক্টোবরে নিউজিল্যান্ড সফরে আরও দুই টি টেস্ট, এরপর ২০২৭ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের দীর্ঘ টেস্ট লড়াই। এই সূচির আগেই নির্ধারিত হবে, লাল বলের ফরম্যাটে ভারতের গুরুর ভূমিকায় থাকছেন কে।

 

লেখক পরিচিতি

ক্রীড়াচর্চা হোক কাব্য-কথায়!

Share via
Copy link